গন কল্যাণমুখী ও আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার সফল প্রবর্তক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ

ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ দেশের একজন প্রথিতযশা সফল ব্যাংকার ও গন কল্যাণমুখী আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার অন্যতম প্রবক্তা । তিনি দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংক সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এ সাফল্যের সঙ্গে তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে সম্প্রতি রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসাবে যোগ দেন । বর্ণাঢ্য পেশা জীবনের অধিকারী মোহাম্মদ ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ একজন উজ্জ্বল আলোকিত চৌকস ও বুদ্ধিদীপ্ত পেশাজীবী ও ব্যাংকার হিসেবে ইতিমধ্যেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ এ সক্ষম হয়েছেন। গতিশীল সৎ দক্ষ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি হিসেবে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন তার মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠান এবং দেশের উন্নয়নে নিজেকে অধিকভাবে কর্ম ব্যস্ত রাখার এক ধরনের অতিরিক্ত প্রয়াস। কারণ তিনি অনুভব করেন দেশের সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিই যদি নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পরিপালন করতেন তাহলে এ দেশের উন্নয়ন ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া কিংবা থাইল্যান্ডের চেয়ে কোন অংশে কম হতো না ।
মোহাম্মদ ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে যোগদানের পর তিনি বেশকিছু যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছেন । ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে বড় অংকের মুনাফার পাশাপাশি বিপুল খেলাপী ঋণ আদায়ের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। তিনি পাঁচশ কোটি টাকার লোকসানি সোনালী ব্যাংকে দুই হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত মুনাফা অর্জন করিয়ে দিয়েছেন। খেলাপি থেকে আদায় করিয়েছেন সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি। রাত দিন পরিশ্রম করে ব্যাংকটিকে একটি মজবুত অবস্থায় নিয়ে গিয়েছেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সোনালী ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে চারশত পঞ্চান্ন কোটি টাকা। ২০১৮ সালে মুনাফা করেছিল ২০২৬ কোটি টাকা।  ২০১৭ সালে ১১৯৫ কোটি মুনাফা করেছিল সোনালী ব্যাংক এবং ২০১৬ সালের শেষ ছয় মাসে (জুলাই- ডিসেম্বর) পরিচালন মুনাফা হয়েছিল ৪২৫ কোটি টাকা। অথচ ওই বছরের প্রথম ছয় মাসে লোকসান হয়েছিল ৩৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ দায়িত্ব নেওয়ার আগ মুহূর্তেও যে ব্যাংকটির ছয় মাসে ৩৪৬ কোটি টাকা লোকসান করেছিল, দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সেই ব্যাংকটিকে ৪১০১ কোটি টাকা মুনাফা এনে দিয়েছেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। তার নিরলস প্রচেষ্টায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড জাতীয় অর্থনীতিতে একের পর এক ভূমিকা রেখেছিল।
তার দায়িত্ব পালনকালে ব্যাংকটি সরকারকে মুনাফা দিয়েছে ৪১০১ কোটি টাকা। অথচ ২০১৬ সালে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকটি লোকসান করেছিল ৩৪৬ কোটি টাকা।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের সময় সোনালী ব্যাংকে শ্রেণিকৃত ঋণের ৬৬৫৬ কোটি টাকা আদায় করেছে যা সোনালী ব্যাংকের ইতিহাসে কখনও হয়নি। এছারা দায়িত্ব পালনকালে ২১৩ টি লোকসানি শাখা কমাতে পেরেছেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
২০১৬ সালের যুনে সোনালী ব্যাংকের লোকসানি শাখা ছিল ২৭৪ টি। ২০১৯ সালের যুনে লোকসানি শাখা কমে দাঁড়িয়েছে ৬১টিতে। এদিকে আলোচ্য তিন বছরের সোনালী ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। ঋণ ও অগ্রিম বেড়েছে প্রায় এগারো হাজার কোটি টাকা। তিনি এমন এক জাদুকর ব্যাংকার যার হাতের স্পর্শে বদলে গিয়েছিল সোনালী ব্যাংক।  ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ফিরে এসেছিল কর্মতৎপরতা। তারই উদ্যোগ বছরের প্রথম থেকেই পদোন্নতি প্রথা চালু হয় সোনালী ব্যাংকে।
সোনালী ব্যাংকের এমডি এন্ড সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ রাষ্ট্রয়ত্ত বিশেষায়িত কর্মসংস্থান ব্যাংকের এমডি পদে কর্মরত ছিলেন। বাংলার কৃষকদের জন্য আজন্ম লড়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য জন্ম নেওয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন কৃষি এবং কৃষককেই। সোনার বাংলা শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে কৃষকদের নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে গেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। মহান বিজয়ের পর ৪৩ লাখ কৃষককে পুর্নবাসিত করেছেন । কৃষকদের খাজনা মওকুফ করেছেন, বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন দেড় লাখ গরু, স্যার, উন্নত বীজ,  সেস,পাম্প। কৃষকদের মাঝে নামমাত্র সুদে ঋণ বিতরণের জন্য গঠন করেছেন ব্যাংক। প্রথম বাজেটেই এক পঞ্চমাংশ বরাদ্দ দিয়েছিলেন কৃষিখাতে। বঙ্গবন্ধুর এই কৃষকবান্ধব অর্থনৈতিক দর্শনে উদ্ভূদ্ধ হয়েছেন একজন ব্যাংকার মোহাম্মদ ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, রাষ্ট্রয়াত্ত রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকের জন্য নিয়েছেন এক যুগান্তকারী উদ্যোগ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষকদের মাঝে বিতরণ শুরু করেছেন বিনা সুদে কৃষি ঋণ। এরও আগে তিনি অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  (ডিএমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ১৯৮৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে যোগদানের মাধ্যমে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। তারপর তিনি বিভিন্ন সময়ে অগ্রণী ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ  ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে বিকম অনার্স এবং ১৯৮৮ সালে আই বি এ থেকে ফিন্যান্স বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসিতে বাণিজ্য বিভাগে মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ দীর্ঘ পেশাজীবনে ব্যাংক খাতের উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সম্মেলনে ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৬০ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ এর ছোট রাজ পাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন