পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, সুশাসন না হলে উন্নয়ন করেও ভোট পাওয়া যাবে না। সুশাসন নিশ্চিতকল্পে পুলিশের ভূমিকা রাখতে হবে। মেধা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দিয়ে পুলিশ এখন আগের চেয়ে বেশি সম্মানিত জায়গায়। রোববার (১ মার্চ) ২০০৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকৃত সদস্যদের স্মরণে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ আয়োজিত ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০২০’ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে উপমন্ত্রী বলেন, পুলিশিং পেশার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেতন বৃদ্ধি, ঝুঁকি ভাতাসহ আজীবন রেশনিংব্যবস্থা চালু করছেন। সুবিধা বাড়লে সেবাও বাড়াতে হবে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে পুলিশি সেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। পুলিশি সেবা সহজীকরণে সরকার ইতোমধ্যে প্রায় ৫০,০০০ সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন। পুলিশ এখন চাকুরিসন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করে।
পুলিশ সুপার (শরীয়তপুর) এস এম আশরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই আয়োজনের বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জেলা ও দায়রা জজ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদারসহ জেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এনামুল হক শামীম আরও বলেন, ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ স্লোগান বাস্তবায়নেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হবে। তাই জঙ্গী ও মাদকমুক্ত দেশ গঠনে পুলিশকে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
শরীয়তপুর জেলার কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ হারানো ১২ জন পুলিশ সদস্যের পরিবারের হাতে পুলিশ সুপার ও উপমন্ত্রী যৌথভাবে ১৫ হাজার করে নগদ অর্থ তুলে দেন। আগামীতে প্রতিবছর পুলিশ সদস্যদের পরিবারের মেধাবী ২০ জন শিক্ষার্থীদেরকে উপমন্ত্রীর আশ্রাফুননেসা ফাউন্ডেসন থেকে বৃত্তি প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।
