কিমের নির্দেশে করোনা আক্রান্তকে গুলি করে হত্যা

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া মারণ ব্যধি করোনাভাইরাস এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। সবশেষ চীনে মারা আরো ৪২ জন মারা গেছে।

শতকরা ৯০ ভাগ মৃত্যুই হয়েছে চীনের হুবেই প্রদেশে যেখানে ভাইরাসটির গত প্রথম আবির্ভাব ঘটেছিল। করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে উত্তর কোরিয়াতেও।

উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের ‘আয়রন হ্যান্ড’ নীতির কথা সর্বজনবিদিত। তাঁর রোষে পড়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে বহু ‘প্রভাবশালী’ সেনা আধিকারিক থেকে শুরু করে আমলাদের। এহেন কিমই হুংকার দিয়েছিলেন তাঁর দেশে করোনা ভাইরাস ঢুকলে ফল ভাল হবে না। তারপর গুজব ছড়িয়েছে যে কিমের নির্দেশে এক করোনা রোগীকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রশাসন।

সিঙ্গাপুরের একটি সংবাদ সংস্থার দাবি, উত্তর কোরিয়ার প্রথম নোভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ আক্রান্তকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এবং এই পদক্ষেপ করা হয়েছে স্বৈরশাসক কিমের নির্দেশেই।

প্রতিবেদনে সিঙ্গাপুরের সংস্থাটি জানিয়েছে, একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে রোগী হত্যার তথ্যটি পেয়েছে তারা। কিন্তু ওই অ্যাকাউন্টের সত্যতা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। টুইটার অ্যাকাউন্টটি হল ‘@সিক্রেট_বেজিং’। অ্যাকাউন্টের মালিক নিজের পরিচয়ে জানিয়েছেন, তিনি চীন ও তার পরিধির বাইরে এক জন সামাজিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষক। তিনি অবশ্য তাঁর খবরের সূত্র কী, তা বিশ্লেষণ করেননি। কিন্তু গোপনীয়তার মোড়কে মোড়া উত্তর কোরিয়া নিয়ে মানুষের কৌতূহল প্রবল।

ফলে ‘সিক্রেট_বেজিং’-এর টুইট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এদিকে, নেটদুনিয়ায় করোনা আক্রান্তের হত্যার খবরটি ছড়িয়ে পড়লেও এই বিষয়ে যথারীতি মুখ খোলেনি পিয়ংইয়ং। এর আগেও বিরোধীদের উপর হিংস্র কুকুর লেলিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কিমের বিরুদ্ধে। এমনকি নিজের সৎভাই কিম জং নামকেও বিষপ্রয়োগে হত্যার অভিযোগ রয়েছে উত্তর কোরিয়ার এই একনায়কের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের প্রায় ৫৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ করোনা ভাইরাস। শুধুমাত্র চীনেই এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩ হাজার মানুষের। করোনায় আক্রান্ত ৮০ হাজার মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে শি জিনপিং সরকার। রোগের উৎসস্থল হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান-সহ বেশ কয়েকটি শহর লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ, অফিস, বাজার ও কারখানা। শিল্পে উৎপাদন কমার ফলে অনেকাংশেই থমকে গিয়েছে চীনের অর্থনীতি।

আপনি আরও পড়তে পারেন