তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

টানা ৭২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তৈয়বুর রহমান হৃদয় (২৫) নামে স্ত্রী হত্যা মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের পাগলা থানা পুলিশ।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাগলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফায়েজুর রহমান, এসআই রুহুল আমীন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় স্ত্রী হত্যা মামলার একমাত্র আসামি তৈয়বুর রহমান হৃদয়ের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় অভিযান চালান।

কিন্তু আসামি হৃদয় পুলিশের অবস্থান আঁচ করে পালিয়ে বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় চলে যায়। পুলিশ পুনরায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হৃদয়কে গ্রেফতার করতে বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় যায়। কিন্তু হৃদয় আবারও টের পেয়ে পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে। পুলিশ আবারো তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বুধবার (৪ মার্চ) রাতে চট্টগ্রামের হালিশহরে টানা ৭২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করে।

প্রসঙ্গত, উপজেলার পাগলা থানাধীন আমাতুরের টেক গ্রামের আবুল মুনসুরের মেয়ে সাহিদা খাতুনের (২১) সাথে গাজীপুর পোষাক কম্পানিতে চাকরি করার সময় বি-বাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন গোপিনাথপুর ইউনিয়নের জামখালী গ্রামের হিরণ মিয়ার ছেলে তৈয়বুর রহমান হৃদয়ের পরিচয় ও প্রেমের সুবাদে বিয়ে হয়। কিন্তু হৃদয়ের পূর্ব বিয়ের খবর পেয়ে সাহিদা অভিমান করে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। পরে হৃদয় মাঝে মাঝে সাহিদার বাবার বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। গত ১২ ডিসেম্বর সকালে সাহিদার সাথে হৃদয়ের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাহিদাকে মারপিট করে গলাটিপে হত্যার পর হৃদয় পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাহিদার বাবা আবুল মুনসুর জামাতা হৃদয়কে একমাত্র আসামি করে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে পাগলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফায়েজুর রহমান বলেন, টানা ৭২ ঘণ্টার অভিযানের সময় আসামি হৃদয় বারবার অবস্থান পরিবর্তন করেছে। প্রতিবার আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন