তামিম-রিয়াদদের চোখ বিশ্বকাপে

এ বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় হবে টি২০ বিশ্বকাপ। তার আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজকে একপ্রকার প্রস্তুতি হিসেবেই নিয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে বিশ্বকাপের মঞ্চে পা রাখার আগে চার-ছক্কার ফরম্যাটটা একটু ঝালিয়ে নিতে চান তামিমরা।

বাংলাদেশ এই সিরিজে নামবে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চোখ রেখে। বিশ্বকাপের বাকি আর ৭ মাস। এই সিরিজের দুটিসহ ম্যাচ আছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ৯টি, সঙ্গে এশিয়া কাপ। সিরিজ শুরুর আগের দিন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানালেন, প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগিয়ে বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে চান তারা।

‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খুব বেশি দিন দূরে নেই। আমার মনে হয় এটা সঠিক সময় যেন আমরা দল হিসেবে ভালো করতে পারি। প্রতিটি ম্যাচ ধরে যদি আমরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে পারি, ভালো খেলতে পারি ও জিততে পারি, তাহলে বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমাদের একটা আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে।’

জিম্বাবুয়েকে এবার একমাত্র টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে জয় ধরা দিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ খুব আত্মবিশ্বাসী দল নয় বটে, তার পরও এই সিরিজ শুরু করছে তারা ফেবারিট হিসেবেই। মাহমুদউল্লাহ তবু সতর্ক খেলাটা টি-টোয়েন্টি বলেই।

‘চ্যালেঞ্জ এখানেও আছে। প্রতিটি খেলাই চ্যালেঞ্জিং, প্রতিপক্ষ যে দলই হোক। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে ভালো ক্রিকেট খেলেছি আমরা। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ে বেশ শক্তিশালী দল। তাদের ব্যাটিং অর্ডার বেশ ভালো। আমাদের খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে নামতে হবে। আমরা যদি ওদের সহজভাবে নিই, আমাদের জন্য খারাপ হবে।’

২০ ওভারের ক্রিকেটে দুই দল এখনও পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ১১ বার। বাংলাদেশের জয় ৭টিতে, জিম্বাবুয়ে জিতেছে ৪টি। সব সমীকরণ বলে, বাংলাদেশকে জিম্বাবুয়ে হারাতে চাইলে বাস্তব সম্ভাবনা এই সংস্করণেই বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অনিশ্চিত ধরনই আশার উৎস জিম্বাবুয়ের সিনিয়র ক্রিকেটার শন উইলিয়ামসের।

‘টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ থাকে। যে কোনো দিকেই যেতে পারে ম্যাচ। এক ওভার, এমনকি দুটি বলও খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে মাঠে নামার আগে আমরা রোমাঞ্চিত। আমরা তরুণ একটি দল। ছেলেরা আশা করি উপভোগ করবে। শতভাগ বিশ্বাস আছে, আমরা জিততে পারি।’

আপনি আরও পড়তে পারেন