আমরা করোনার ভ্যাকসিন পেয়ে গেছি’

কানাডা ভিত্তিক একটি ওষুধ কোম্পানি দাবি করেছে, তারা করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) ভ্যাকসিন আবিস্কার করে ফেলেছেন। করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স আবিস্কারের মাত্র ২০ দিনের মাথায় এমন সাফল্যের ঘোষণা দিলো মেডিকাগো নামের ওই কোম্পানি।

ডিফেন্স ওয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মেডিকাগো কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। আর তাই ওষুধটি বাজারে ছাড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ বিভাগের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন লাগবে। আর এই অনুমোদন মিলে গেলে প্রতি সপ্তাহে ১০ মিলিয়ন ডোজ ওষুধ উৎপাদন করতে পারবে বলে বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) মেডিকাগোর সিইও ব্রুস ক্লার্ক জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, অবশেষে আমরা প্রতিষেধক পেয়ে গেছি’ বলে উচ্ছ্বসিত ঘোষণা দিয়েছেন। যদি তাদের উদ্ভাবিত এই প্রতিষেধক এফডিএ’র অনুমোদন পায় তাহলে প্রতি মাসে এক কোটি ডোজ প্রতিষেধক উৎপাদন ও বাজারজাত করণ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে তারা।

প্রতিষেধক আবিষ্কারে স্বতন্ত্র কিছু টেকনোলজি ব্যবহার করেছেন প্রতিষ্ঠানটি। শিগগিরই তারা এটি এফডিএ অনুমোদনের জন্য জমা দেবে। অনুমোদন পেলেই বাজারে ছাড়া হবে।

ক্লার্ক বলেন, যদি নিয়ন্ত্রক বাঁধাগুলি দূর করা যায় তবে নভেম্বরে এই ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া যাবে।

এদিকে একই দিনে ইসরাইলের একটি গবেষণা ল্যাবও করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি করেছে। তবে ক্লার্ক বলছেন, তার কোম্পানির আবিষ্কৃত প্রতিষেধক এরই মধ্যে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এটি আরও নির্ভরযোগ্য এবং সহজে উৎপাদন সম্ভব।

ক্লার্কের দল কিভাবে এত তাড়াতাড়ি প্রতিষেধক তৈরিতে সক্ষম হল? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা মুরগির ডিম নয়, ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রোটিনের বায়োরিঅ্যাক্টর হিসাবে গাছ ব্যবহার করে সফল হয়েছি।

ক্লার্ক বলেছিলেন, সাধারণত ভ্যাকসিন তৈরিতে অনেকগুলো ডিমের প্রয়োজন হয়। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীরা ডিমগুলিতে ভাইরাসটি ইনজেক্ট করে, যেখানে লালন করে। তবে ডিমের ব্যবহার ব্যয়বহুল, দীর্ঘ সময় নেয় এবং একেবারে নিখুঁত হয় না। অনেক সময় বিস্তৃত পরীক্ষায় ভ্যাকসিনগুলির লক্ষ্যের সঙ্গে মেলে না। সুতরাং, পরীক্ষার জন্য মেডিকাগো কোনও লাইভ ভাইরাস নিয়ে কাজ করেনি। পরিবর্তে এটি গাছপালা ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, এটিই আমাদের মধ্যে পার্থক্য এবং ডিম-ভিত্তিক পদ্ধতিগুলির থেকে আলাদা। আমরা ভাইরাসের চাষ না করেই সরাসরি ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিবডি তৈরিতে চলে যাই। এটা অনেক সময় এবং অর্থ সাশ্রয়ী।

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন