রাণীনগরে গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

রবি শস্যের মধ্যে অন্যতম একটি লাভজনক আবাদ হচ্ছে গম। বিগত সময়ে গমের আবাদ কমলেও নওগাঁর রাণীনগরে বর্তমানে কৃষকরা আবারও গমের আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। ধান চাষে বার বার লোকশান হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা বর্তমানে এই লাভজনক আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি করছেন। বর্তমানে গমের বাজার ভালো থাকায় লাভের আশা করছেন চাষীরা।

সূত্রে জানা, চলতি রবি মৌসুমে রাণীনগর উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে গমের চাষ করা হয়েছে। এবার উপজেলার ৭শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে বারিগম-২৮, ২৯, ৩২ ও ৩৩ জাতের অধিক ফলনশীল গমের চাষ করা হয়েছে। প্রতিটি মাঠেই বর্তমানে গমের সোনালী পাঁকা শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। কোনও কোনও জমিতে এখনও কিছু গমের শীষ কাঁচা রয়েছে। তবে আগামী ১৫ দিন পর থেকে জমি থেকে কৃষকরা গম কাটা শুরু করতে পারবেন।

রোগবালাইয়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। লাভজনক এই গম চাষে কৃষকদের আগ্রহী করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের গমবীজ, সার, বালাইনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ বিনামূল্যে বিতরন করা হয়েছে।

এছাড়াও কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে উপজেলা কৃষি অফিস।

চকমনু গ্রামের গমচাষী জুয়েল, শফিকুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে এবার গমের দানা খুব ভালো এসেছে। যদি আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত গমের অনুক’লে থাকে ও গমের বাজার ভালো থাকে তাহলে কৃষকরা লাভবান হবেন। গম চাষে তেমন পানি, সার, কীটনাশক, বালাইনাশক ও নিড়ানীর প্রয়োজন হয় না বলে খরচ অনেক কম হয় এবং কম পরিশ্রমে অধিক লাভ করা যায়। এছাড়াও গমে পোকা-মাড়কের আক্রমণও তেমন হয় না। গমের শীষ নেওয়ার পর গমের গাছ জ্বালানি ও বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সবমিলিয়ে গম চাষ একটি অধিক লাভজনক আবাদ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: শহীদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ চলতি মৌসুমে গমে তেমন উল্লেখ্যযোগ্য কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমন হয় নাই। গম চাষে কম পরিশ্রমসহ খরচ অনেক কম হয় তাই গম চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন। এছাড়াও গম চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তি যেমন বৃদ্ধি পায় তেমন ভাবে গম চাষের পর কৃষকরা ওই জমিতে ভালো ভাবে আউশ ধান কিংবা অন্য আবাদ করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষকরা বিঘা প্রতি প্রায় ১৬ মণ হারে ফলন পাবেন বলে আমি আশা করছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন