মাদ্রাসার ছাত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা

নরসিংদীর পলাশে দশম শ্রেণীর এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে মাথায় একাধিক আঘাত করে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (১৮ মার্চ) সকালে পলাশ থানা পুলিশ গজারিয়া মধ্যপাড়া এলাকায় নিহতের নিজ বাড়ি থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের দুই ভাই ও দুই বোনকে সন্দেহ জনক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। নিহত আফিয়া (১৬) পলাশ উপজেলার গজারিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আজাহার মিয়ার ছোট মেয়ে। সে গজারিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী।

পুলিশ, নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস আগে রাসেল নামে এক যুবকের সাথে প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পরে আফিয়া। রাসেল আফিয়াকে বিয়ের করা জন্য আফিয়ার বাড়িতে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রাসেল আগে থেকেই অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করার খবর জানতে পেরে আফিয়ার পরিবার এই সম্পর্ক মানতে পারছিল না।

পরবর্তীতে আফিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি তার বড় ভাই আলম গত একমাস যাবত তার নিজের কাছে রেখে দেয়। মাঝে মধ্যে রাসেল ওই মোবাইলে ফোন দিলে ফোনটি আফিয়ার বড় ভাই আলম রিসিভ করত। এ নিয়ে আফিয়া ও তার পরিবারের মধ্য প্রায়ই ঝগড়া হত। ঘটনার দিন রাত মঙ্গলবার আফিয়ার সাথে তার দুই বোন ও একই ঘরের পাটিশন রুমে তার দুই ভাই শাখায়ত ও আলম ও দুই বোনের জামাই মোশারফ ও তারেক এক সাথেই ছিল।

তবে আশপাশের বাড়ির লোকজন জানায়, গভীর রাতে নিহতের পিতা আজাহার ও নিহতের মার ডাক চিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন ছুটে আসলে কিছুই হয়নি বলে নিহতের পরিবার থেকে জানানো হয়। পরর্বতীতে ভোর সকালে আবার নিহতের পরিবারে কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে আশপাশের বাড়ির লোকজন ছুটে আসলে পরিবার থেকে জানানো হয় ঘরের সিঁধ কেটে কে বা কারা ঘুমন্ত অবস্থায় আফিয়াকে তুলে নিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহত আফিয়ার মাথায় আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

তবে এলাকাবাসী অভিযোগ, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনার খবর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পরলে সাধারণ মানুষের মধ্যে, আতকং, উৎকন্ঠার ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

এ দিকে এ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ, পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেন।

ওসি নাসির বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সব রকম চেষ্টা করছে। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন