সব দেশে একটাই বার্তা সন্দেহ হলেই পরীক্ষা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা মহামারি করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনতে সন্দেহভাজন রোগীদের পরীক্ষার কোনো বিকল্প দেখছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি এই সঙ্কট কাটাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসরঞ্জামের উৎপাদন বাড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত সোমবার (১৬ মার্চ) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস।

তিনি বলেন, সব দেশের প্রতি আমাদের খুব সাধারণ একটি বার্তা, তা হলো—পরীক্ষা, পরীক্ষা, পরীক্ষা। সব দেশেরই উচিত সন্দেহজনক সব রোগীকে পরীক্ষা করা। চোখ বন্ধ করে থাকলে দেশগুলো এই মহামারির সঙ্গে লড়াই করতে পারবে না।

টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস আরও বলেন, পরীক্ষা ছাড়া সন্দেহভাজন রোগী শনাক্ত করা যাবে না, সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা যাবে না।

গেল ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৬৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। গত ৩০ জানুয়ারি এই সংক্রমণকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর প্রায় দেড় মাস পর ১১ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করা হয়।

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে টেড্রোস বলেন, উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা যেসব দেশের রয়েছে, তারাও করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। কাজেই নিম্ন আয়ের দেশগুলো নিয়ে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ, এসব দেশের মানুষকে এরই মধ্যে অপুষ্টি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, কাজেই করোনাভাইরাস মোকাবিলার সবচেয়ে কার্যকর কৌশল হতে পারে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত করে দ্রুত তাদের আইসোলেশন করা। এই উপায়ে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর সফলতা পেয়েছে।

অনেক দেশেই করোনা পরীক্ষার উপকরণের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে খুব কম উপসর্গ নিয়ে আসা সন্দেহভাজন রোগীদের পরীক্ষা করছে না অনেক দেশ। এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, সরঞ্জামের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেসরকারি খাতের সঙ্গে কাজ করছে। চলমান এই ঘাটতিকে তিনি ‘বাজার ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন