রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জে দুটি অবৈধ সিসা কারখানা ভেঙ্গে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (১৮ মার্চ) কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলা অভিযানে নেতৃত্ব দেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল।
কারখানার ব্যাটারির অ্যাসিড ও বিভিন্ন বর্জ্যের প্রকট গন্ধ ও ধোঁয়ায় ধলেশ্বরী পাড়ের নতুন সোনাকান্দা বিসিক শিল্পনগরী এলাকার স্থানীয় লোকজন ছিলো অতিষ্ঠ। কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছিলো।
স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন জানান, কারখানা দুটির ধোঁয়া ও গন্ধে এলাকায় থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। আমাদের বহুদিনের আকাংখা আজ পূর্ণ হলো। এখন এলাকার মানুষ মুক্ত ভাবে বাতাস নিবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি অভিযোগ করে বলেন, কারখানার মালিক স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর সহযোগিতায় এটা চালিয়ে আসছিলো। তাদের কে কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলার পরও কোনো লাভ হচ্ছিলো না। দিনে অ্যাসিড, রাতে ধোঁয়ার গন্ধে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো।
এ ব্যাপারে উপজেলার পরিচিত মুখ ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, সিসা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ব্যাটারির বর্জ্যসহ নানা কেমিক্যাল যুক্ত প্লাস্টিক, কৌটা পুড়িয়ে সিসা তৈরি করলে আশপাশে থাকা মানুষের শরীরে পয়জনিং সৃষ্টি করে। এর ফলে মানসিক বিকৃতি, রক্তশূন্যতা ও মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন হতে পারে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান সোহেল বলেন, কেরানীগঞ্জের শিশুরা সিসা মুক্ত পরিবেশে শ্বাসপ্রশ্বাস নিবে। কেরানীগঞ্জে কোন সিসা ফ্যাক্টরি থাকবে না বলে আমরা যে ঘোষণা দিয়েছে এটা তারই অংশ। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে যতদিন না এগুলো শেষ হয়।
