৬ বছরেই টাকার খনি নাজিমের, হিসাব ছাড়াই খরচ করেন শ্বশুর!

চাকরিতে ঢোকার ৬ বছরের মধ্যে বিত্তবৈভব বেড়েছে কুড়িগ্রামের আলোচিত সদ্য সাবেক আরডিসি নাজিম উদ্দিনের। নামে বেনামে কিনেছেন জমি। মা ও স্ত্রীর জন্য বসবাসের জন্য বাড়ি বানানোর পাশাপাশি যশোরের মণিরামপুর উপজেলা সদরে শুরু করেছেন চারতলা আলীশান বাড়ি নির্মাণের কাজ। বাড়িটি নির্মাণে ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে পঞ্চাশ লাখ টাকা। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ২০ লাখ টাকা।

এদিকে দুদক বলছে, অভিযোগ পেলে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তদন্ত করা হবে।

মধ্যরাতে বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে অমানুষিক নির্যাতনের নেতৃত্বদানকারী কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সদ্য সাবেক আরডিসি নাজিম উদ্দিনের বাড়ি যশোরের মণিরামপুরে।

শৈশবে নানাবাড়ি মণিরামপুরের কাশিপুর কাঁঠালতলা গ্রামে থাকতেন তিনি। হত দরিদ্র বাবা নেছার আলী ও মা মাজেদা বেগম অনেক কষ্টে লেখাপড়া করান নাজিমকে।

৩৩তম বিসিএস ক্যাডারে ২০১৪ সালে চাকরিতে যোগ দেন নাজিম উদ্দিন। এরআগে তিনি এক্সিম ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন বছর দেড়েক।

ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চাকরি পাবার পর দিনবদল শুরু হয় নাজিমের। তিনবছর আগে মামা বাড়ির আড়াই শতক জমির ওপর নির্মাণ করেন একতলা বাড়ি। এ বাড়িতেই তার স্ত্রী, সন্তান ও মা থাকেন। এছাড়া মণিরামপুর পৌরসভায় শশুরের নামে কিনেছেন জমি, বউয়ের নামে কেনা জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি চারতলা ভবন। বাড়িটি নির্মাণে ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকা। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ২০ লাখ টাকা।

নাজিমের বাবার সহকর্মী বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটের বাপ মাটি কাইটতো। আবার নিয়ে যাইয়ে রোদে দিত।’

নাজিমের কাছে জমি বিক্রিকারী আকবার আলী মোল্লা বলেন, ‘আমার কাছ থেকে জমি কিনছে। জমি যা হওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে একটু কম হওয়ায় ৪৪ লাখ টাকা দিছে।’

নাজিমের শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নাজিম টাকা দিয়ে যায় খরচ করি। কোনো হিসাব রাখি না।’

নাজিমের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও অবৈধ আয়ের মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের খবরে লজ্জিত মণিরামপুর উপজেলাবাসী।

এদিকে দুদক যশোর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত জানান, স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের সুযোগ নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় আলোচিত আরডিসি নাজিম উদ্দিন বর্তমানে ওএসডি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন