নবাবগঞ্জে দরজা খুলে দেখেন ত্রাণ নিয়ে ইউএনও-এসিল্যান্ড

রাত তখন ৯ টা৷ ঢাকার নবাবগঞ্জের আগলা ছাতিয়া এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা গাড়ির লাইটের আলো দেখে ঘরের দরজা খুলে দেখেন ত্রাণ নিয়ে দরজার সামনে ইউএনও এবং এসিল্যান্ড৷ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা উপজেলা প্রশাসনের এমন বাস্তবতার দায়িত্ব দেখে আবেগে অনেকেই কান্না করে দেন৷
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা জানান, এমন দুর্যোগ সময়ে বাড়িতে ইউএনও এবং এসিল্যান্ড স্যার ত্রাণ নিয়ে আসবেন এটা কখনো বিশ্বাসই করিনি৷ কিন্ত এখন চোখের সামনে দেখে না বিশ্বাস করে পারছি না৷ তারা আরও জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের মত সারাদেশের উপজেলা প্রশাসন যদি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দেন তাহলে হতদরিদ্রদের আর কষ্ট করতে হবে৷
অন্যদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি সেবা ছাড়া সারাদেশে সকল গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে৷ এমনকি যারা শ্রমজীবি মানুষেরা এখন কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে আছেন৷ এরই মাঝে বাংলাদেশ সরকার পক্ষ থেকে এবং ঢাকা-১ আসনের সংসদ সালমান এফ রহমানের পক্ষ থেকে ভ্রাণ সামগ্রী নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ.এম সালাউদ্দীন মনজু এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিবুল ইসলাম। শুধু দিনেই নয় রাতের বেলায় বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন তারা৷ সেই জয়কৃষ্ণপুর থেকে চুড়াইনসহ চৌদ্দটি ইউনিয়নেই রাতদিন ঘুরে ঘুরে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিবুল ইসলাম ‘দেশ সংবাদকে’ বলেন, জনগণের সেবার জন্য নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন রাতদিন নিয়োজিত। যারা খাবারে কষ্ট করছে তাদের পাশে আছেন সবসময়। তাই কেউ খাবার নিয়ে কষ্ট করবেন না৷
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ.এম সালাউদ্দীন মনজু ‘দেশসংবাদকে’ বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। করোনা প্রতিরোধে নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের মুখে হাসি দেখতে কাজ করে যাচ্ছি। রাত আর দিন নয়,  নিজের দায়িত্বকে সঠিকভাবে পালন করতে ভালোবাসি। নবাবগঞ্জের কোন লোক না খেয়ে থাকবে এটা আমরা চাই না। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাতের বেলাও চাল, ডাল, তেল, লবনসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি৷

আপনি আরও পড়তে পারেন