২৩ বছর কলকাতায় ছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদ

বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদ ২৩ বছর ধরে কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। তিনি গত ১৬ মার্চ ঢাকায় ফিরেছেন।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান।

বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদকে মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এর আগে পুলিশ বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হেলমেট পরিয়ে আদালতে তোলে। আবদুল মাজেদ যখন আসামির কাঠগড়ায় অবস্থান করছিলেন, তখন তার সঙ্গে কথা বলেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হেমায়েত উদ্দিন খান।

এদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাজেদের গ্রেপ্তার দেশবাসীর জন্য মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যেসব দণ্ডপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ডাদেশ কার্যকর করার অপেক্ষায় ছিলাম তাদেরই একজন ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। কিছুক্ষণ আগে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত থেকে তাকে হাজতবাসের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং সেই জায়গায় তাকে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘তার স্ত্রী সানা বেগম, বাড়ি নম্বর ১০/এ, রোড নম্বর-০১, ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকা। তিনি সেখানেই বসবাস করতেন। আমাদের গোয়েন্দাদের কাছে তার সব তথ্য ছিল।’

এ সময় আসাদুজ্জামান খান আরো বলেন, ‘১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সময় এই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ এবং নূর এবং রিসালদার মুসলেহউদ্দিন- এই তিনজন সেখানে ছিলেন। আরও কয়েকজন ছিলেন। এই খুনি শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি জেলহত্যায়ও অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে আমাদের জানা রয়েছে। খুনের পরে তিনি জিয়াউর রহমানের নির্দেশ মোতাবেক বঙ্গভবনে এবং অন্যান্য জায়গায় কাজ করেছেন।’

তিনি বলেন, আমরা আশা করি, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তার দণ্ডাদেশ কার্যকর করতে পারব। যারা যারা এই কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের ধন্যবাদ দিয়ে আমি মনে করি, মুজিববর্ষের একটা শ্রেষ্ঠ উপহার আমরা দেশবাসীকে দিতে পেরেছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন