আরও চারদিন বাড়তে পারে ছুটি!

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে ছুটি আরও চারদিন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র। এরই মধ্যে বাংলাদেশে ভাইরাসটির থাবায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩০ -এ দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ১১২ জন।

এদিকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এর আগে দুই দফা সাধারণ ছু্টি বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাতিল হয়েছে পহেলা বৈশাখের সরকারি আনুষ্ঠানিকতাও। আর সামনের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই আরও চারদিন ছুটি বাড়তে পারে।

অর্থাৎ এখন ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ছুটি ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত হতে পারে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে চিন্তা করছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।

সূত্রটি বলছে, এর আগে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকলেও পরদিন শুক্রবার ও শনিবারের (১০ ও ১১ এপ্রিল) সঙ্গে ১২ ও ১৩ এপ্রিলকে (রবি ও সোমবার) পহেলা বৈশাখের ছুটির সঙ্গে মেলানো হয়। সে হিসেবে ছুটি বেড়ে যায় ৫ দিন। সামনেও ১৪ এপ্রিলের পর দু’দিন অফিস খোলা থাকায় সেটিকেও শুক্র ও শনিবারের সঙ্গে মিলিয়ে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি করার চিন্তা রয়েছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতির উপর।

তথ্যমতে, করোনাভাইরাসের কারণে ইতোমধ্যে সাধারণ ছুটি তিন দফা বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল করা হয়েছে। এ পরিস্থিতি আর কতদিন স্থায়ী থাকবে, তা কেউ বলতে পারছেন না। এ কারণে পরিস্থিতিই ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে।

গত রোববার (৫ এপ্রিল) জনপ্রশাসন সচিব ইউসুফ হারুন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামি সপ্তাহে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ এমনিতেই সরকারি ছুটি। এই দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা বাতিলের চিঠি ইস্যু করেছে।

এদিকে সেসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে ৩০ মে পর্যন্ত।

করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আসছে রমজান ও ঈদুল ফিতরের ছুটি সমন্বয় করে উদ্ভুত পরিস্থিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির ঘোষণা। যা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন