রাতে ডিউটি সেরে বাসায় এসে জানলাম আমি বরখাস্ত, চিকিৎসকের দাবি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানাননি বলে দাবি করেছেন কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল থেকে সাময়িক বরখাস্ত দুই চিকিৎসক।

তারা হলেন- কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মুহাম্মাদ ফজলুল হক এবং হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা) শারমিন হোসেন।

শারমিন হোসেন রবিবার ফেইসবুক লাইভে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক স্যার আমাকে কোনো টেলিফোন না করে বা কোনো কিছু না জানিয়ে আমার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নাম পাঠিয়েছেন যে আমি নাকি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দিতে ইচ্ছুক না। এমন কথা আমি মৌখিক বা লিখিতভাবে কখনো স্যারের কাছে অথবা কারও কাছে প্রকাশ করেছি বলে আমার জানা নেই।

শারমিন বলেন, তিনি ১ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেন। রাতের পালার কাজ সেরে বাসায় ফেরেন সকালে। এক দিন পর তিনি জানতে পারেন তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শারমিন হোসেন তার হাজিরা খাতার অনুলিপি নিয়ে সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. বেলাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন বলেও ওই পোস্টে বলেন।

সকালে শারমিন হোসেন তার সঙ্গে দেখা করেছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) বেলাল হোসেন। তিনি শারমিনকে তার বক্তব্য লিখিতভাবে স্বাস্থ্যসচিবকে জানাতে বলেছেন।

এ ছাড়া শনিবার রাতে বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টেলিভিশনের টক শোতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন মুহাম্মদ ফজলুল হক। তিনি নিয়মিত হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, শনিবার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ছয় চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্তের সুপারিশ করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেহাব উদ্দিন। ওই দিনই সন্ধ্যায় অধিদপ্তর তাদের সাময়িক বরখাস্তের ঘোষণা দেয়। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে এই ছয় চিকিৎসক অনিচ্ছা দেখিয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন।

এই দুই চিকিৎসক বাদে আরও যে চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের একজন আগেই ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। অন্য তিনজন হাসপাতালে আসছিলেন না।

আপনি আরও পড়তে পারেন