কেরানীগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যু, নতুন সনাক্ত আরো একজন

আবু জাফর, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি :
কেরানীগঞ্জে নতুন করে আরো এক ব্যক্তির শরীরে করোনার সংক্রমন ধরা পড়েছে। এনিয়ে কেরানীগঞ্জে ২৪ আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে মঙ্গলবার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের বেগুনবাড়ি এলাকার ৮০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল তার শরীরে করোনার সংক্রমন ধরা পড়ে। তিনি রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে রোববার আগানগর আমবাগিচা এলাকার বাসিন্দা ৬৫ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এনিয়ে কেরানীগঞ্জে দুজন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসাইন। তিনি জানান, মঙ্গলবার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের জিয়ানগর এলাকায় ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে করোনার সংক্রমন ধরা পড়ে।
কেরানীগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত স্বামী স্ত্রীকে পাওয়া গেল ৮ ঘন্টা পর : রবিবার কেরানীগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত স্বামী স্ত্রীকে অবশেষে পাওয়া গেছে। প্রায় ৮ ঘন্টা পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দেয়া ফেসবুক ষ্টাটাসের সূত্র ধরে রাত ১০ টার দিকে আক্রান্তদের বাড়ির ঠিকানা পাওয়া যায়। পরে চিকিৎসান জন্য গোলামবাজার এলাকার বাড়ি থেকে স্বামী (৬৫) ও স্ত্রী (৪৮) কে চিকিৎসাধীন জন্য কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসাইন জানান, করোনার লক্ষন নিয়ে কেরানীগেেঞ্জর লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের মাধ্যমে নমুনা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে (পিজি হাসপাতাল) পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন এমন দুইজনের শরীরের করোনার সংক্রমনের বিষয়টি রোববার দুপুরে তাদের জানানো হয়। এতে আক্রান্তদের নাম ও মোবাইল নম্বর থাকলেও পূর্নাঙ্গ ঠিকানা ছিল না। শুধু কেরানীগঞ্জ লেখা ছিল। আক্রান্তদের সরবরাহ করা দুটি মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় দেখা দেয় চরম উৎকন্ঠা ও আতঙ্ক।
মীর মোবারক হোসাইন জানান, করোনায় আক্রান্ত দুজনের খোঁজে ফেসবুকে একটি পোষ্ট করেন তিনি। ওই পোষ্ট দেখে পরিচিত এক ডাক্তার কেরানীগঞ্জে তার দুই আত্বীয়ের আক্রান্তের বিষয়টি তাকে জানান। পাশাপাশি ওই ডাক্তার কিছু তথ্য দেন। ওই তথ্যের সূত্র ধরে রাত ১০টার দিকে গোলামবাজার এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত দুজনের সন্ধান পাওয়া যায়। আক্রান্ত দুজন স্বামী স্ত্রী। রাতেই তাদের বাড়ি থেকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ওই বাড়ির কয়েকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইন রাখা হয়েছে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন