স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের পাশে নওগাঁ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান

 

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ:

করোনা পরিস্থিতির কারনে সারাদেশে চলছে সাধারন ছুটি। স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। লকডাউন করা হয়েছে অনেক জেলা। ছুটি এবং বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের কারনে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় নওগাঁ জেলায় দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। বিশেষ করে ধান ঘরে তোলার মৌসুম হওয়ায় শ্রমিকের অভাবে ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। এ অবস্থায় ফসল ঘরে তুলতে কৃষকদের পাশে দাড়িয়েছে নওগাঁ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ শুক্রবার সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে এ কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন। এদিন সকালে সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ি বিলের মাঠে এক কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয় তারা।

করোনা আতঙ্কে ধানকাটা শ্রমিক সঙ্কট দেখা দেওয়ায় কৃষকের ধান ঘরে তুলে দিতে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে গরিব কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে নওগাঁ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমানের নেতৃত্বে প্রায় ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী। তারা ধান কাটার কাজে অংশ নেন। এদিন জেলার সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের মাঠের কৃষক রহিমুদ্দীনের ও আবুল কাজীর প্রায় এক একর জমির ধান জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা ধান কাটা ও মাড়াই শেষে বাড়িতে পৌছে দেন। এদিকে কৃষক রহিমুদ্দীনের ও আবুল কাজী বলেন, তাদের জমিতে পাকা ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় থাকলেও যুবলীগের বিমানের এমন উদ্যোগকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন- করোনা ভাইরাসের কারনে ধান কাটা শ্রমিক সংকটের ফলে মাঠের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছিলেন না চাষীরা। এমন সময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা এসে তাদের জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ায় তারা খুব আনন্দিত।

এ সময় জেলা যুবলীগের নেতা আব্দুল মান্নান, মানিক রায়, সুলতান মাহমুদ, সুশান্ত সরকার, মামুনুর রশীদ, ফিরোজ আলম, রনি, মাসুদ হোসেন, শামীম, প্রিন্স, আশিক, শুভ, উৎস ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আবুল কালাম রাজা, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায় বলেন, এক জন কৃষক হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে মাঠে ধান ফলায় এবং রক্ত কে ঘাম বানিয়ে ধান গুলোকে আগলিয়ে রাখে। কৃষক কত কষ্ট করে সেই ধান কেটে আমাদের খাদ্যের জোগান দেয় তা এসি ঘড়ে বসে থেকে কৃষকের সেই কষ্ট জানা সম্ভব না। শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষক ধান ঘরে তুলতে পারবেনা আমি যুবলীগের একজন কর্মি হিসেবে মেনে নিতে পারছিলাম না। কৃষকরা যদি এত কষ্ট করে আমাদের খাদ্যের যোগান দেন, তাহলে আমরা কেন পারবনা । তাই আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়মী যুবলীগের অভিভাবক সম্মনিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ভাই এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভাই এর নির্দেশে হাঁসাইগাড়ী বিলের মাঠে এক কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলাম।

তিনি আরো বলেন, দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে মানবিক কারণেই আমরা কৃষকের পাশে দাড়িয়ে ওই কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে সহায়তা করেছি মাত্র। কোন কৃষক সহায়তা চাইলে আমরা ওই কৃষকের পাশে দাঁড়াবো। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া তিনি সকল মুজিব সৈনিকদের কৃষকের পাশে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

আপনি আরও পড়তে পারেন