‘কিট আসুক না আসুক, কাউকে ঘুষ দেবে না গণস্বাস্থ্য’

সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ব্যবসায়িক স্বার্থে জাতীয় স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, নানা অজুহাত দেখিয়ে গণস্বাস্থ্যের (করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ) কিট গ্রহণ করেনি সরকার। আমরা জনগণের স্বার্থে শুধু সরকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কিটটি কার্যকর কি-না, তা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারিভাবে প্রতি পদে পদে পায়ে শিকল দেয়ার চেষ্টা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৪৮ বছরে গণস্বাস্থ্য কাউকে ঘুষ দেয়নি, দেবে না। গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিট (ব্যবহারযোগ্য হয়ে) আসুক আর না আসুক, কাউকে ঘুষ দেব না। কিন্তু লড়াই করে যাব।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীক স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হয়ে জনগণের স্বার্থের বিপক্ষে তারা অবস্থান নিচ্ছে। জনগণকে অকারণে ক্ষিপ্ত করছে।

এর আগে শনিবার (২৫ এপ্রিল) করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উৎপাদিত কিট সংগ্রহ করেনি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে না পারলেও গণস্বাস্থ্যের কিটের নমুনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসির প্রতিনিধিরা।

এ বিষয়ে অধিদপ্তর বলছে, গণস্বাস্থ্যের উৎপাদিত কিট এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় গবেষণা সমাপ্ত না করে তারা এই কিট কাউকেই হস্তান্তর করতে পারে না।

সারা বিশ্বেই সংকট রয়েছে করোনার কিটের। আবার যাও বা আছে সেসব কিটে শতভাগ সঠিক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ বিস্তর।

বিশ্বে করোনার দাপটের শুরু থেকেই কিট তৈরির চেষ্টা করে আসছে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র। শনিবার (২৫ এপ্রিল) সরকারের কাছে সেই কিট হস্তান্তরের ঘোষণা দেয় গণস্বাস্থ্য। তাদের দাবি, তারা শতাধিক ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে উদ্ভাবিত কিটে সঠিক ফল পেয়েছেন।

এর আগে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে কাজ করছে না গণস্বাস্থ্য।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বলেছি যখন অ্যাপ্রুভ হবে তখন আপনারা বড় করে অনুষ্ঠান করবেন, করা যাবে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এখন তো এটা স্বীকৃত কোনো কিট না যে আপনারা হস্তান্তর করবেন। এখন ট্রায়েল পর্যায়ে আছে। এটা কি এভাবে হস্তান্তর করা যায়? আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম, এটি করা সমীচীন হবে না। এটি করবেন না।

আপনি আরও পড়তে পারেন