বছরে ৩০ মিলিয়ন ডলারের মদ লাগে কিমের

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি উচ্চতার এই মানুষটির শরীরের ওজন তিনশ পাউন্ডের বেশি। তিনি প্রচুর ধূমপান করেন। এছাড়া মদ্যপানের জন্য বছরে খরচ হয় ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। এমনই দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে  নিউইয়র্ক পোস্ট এবং জাতিসংঘের প্রতিবেদনে।

নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কিমের পরিবারের সদস্যদের অনেকেরই হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৩৬ বছর বয়সী কিম জং উনের দিনে অন্তত চার প্যাকেট সিগারেট লাগে। এর বাইরে অস্বাস্থ্যকর বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং ওয়াইন তার প্রিয়।

এছাড়া জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে ছয় বছর আগে জানানো হয়েছিল, শারীরিক গঠন কিছুটা ঠিক রাখার জন্য এর আগে তিনি সার্জারি করেছেন।

২০১১ সালে কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার আসনে বসার আগে তার বাবা কিম জং ইল ৭০ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। তার আগে কিম জং উনের দাদা কিম ইল সাং ১৯৯৪ সালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। কিম জং ইল ধূমপায়ী ছিলেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। বিভিন্ন ধরনের মদ সংগ্রহ করে তিনি পান করতেন। ভোজন রসিক হিসেবেও তিনি পরিচিত ছিলেন।

২০০৭ সালে কিম জং ইল মারা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় তিনি ছোট চুল নিয়ে জনসম্মুখে হাজির হন। তখন নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়, তিনি হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। বড় ধরনের কোনো সার্জারি হয়েছে। এরপর ২০০৮ সালে কিম জং ইল স্ট্রোক করেন। চীন এবং ফ্রান্সের চিকিৎসকরা ওই সময় তার চিকিৎসা দিয়েছেন বলে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমে দাবি করা হয়।

তিন বছর পর তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। তবে গুঞ্জন রয়েছে তিনি অনেক আগেই মারা যান।

আপনি আরও পড়তে পারেন