দোকান খোলা নিয়ে কখনোই নির্দেশনা দেয়নি জাতীয় কমিটি

রাজধানীর রেস্তোরাঁগুলোর আজ থেকে ইফতার বিক্রি করা নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলেও ডিএমপি কমিশনার বলছেন, দোকান খোলা-বন্ধ নিয়ে তাদের কখনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মনে করে, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মন্ত্রণালয় কিংবা জাতীয় কমিটির মতামত নেয়া উচিত ছিল। এ ধরনের সমন্বয়হীনতায় করোনা পরিস্থিতিকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে শুরু থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে দেখা গেছে সমন্বয়হীনতার। সবচেয়ে বেশি সমালোচনার ঝড় ওঠে লকডাউনের মধ্যেও চলতি মাসের শুরুতে পোশাক শ্রমিকদের ঢাকায় আসার নির্দেশনা।

করোনা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যেই সর্বশেষ সোমবার প্রতিষ্ঠিত রেস্তোরাঁগুলোয় ইফতার বিক্রিতে অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, দোকানের কার্যক্রম কিভাবে চলবে, সে বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকেই দেয়া হয়নি গাইডলাইন।

বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। আর বৈঠকে থাকার কথা জানিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি স্বাস্থ্যসচিব।

তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে মিডিয়া সেললের আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান খান বলেন, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের উচিত ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা নেয়া।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে এমন সমন্বয়হীনতার বাড়াবে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি।

মেডিসিন ও সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, মানুষ যেন বাসা থেকে বের না হয় সেইদিকে নজর রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় হিমশিম খাচ্ছে। আবার খুলে দেয়া হয়েছে পোশাক কারখানা। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে এমন সমন্বয়হীনতার বাড়াবে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি।

যদিও ইফতার বিক্রির ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছে পুলিশ, কিন্তু তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় বিশেষজ্ঞদের।

আপনি আরও পড়তে পারেন