ভাবীর সাথে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় বড়ভাইকে হত্যা, আটক ছোট ভাই

ভাবীর সাথে পরকীয়ায় বাধা দেয়াতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছোটভাই বড়ভাইকে নির্মমভাবে খুন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, মৌলভীবাজার গিয়াস নগর আনকলীবড়  গ্রাম এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের দু‘ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে আটক ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে।

পুলিশ ও স্বজনরা জানিয়েছেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াস নগর ইউনিয়নের আনকলীবড় গ্রামের আলতা মিয়ার বড় ছেলে মেরাজ মিয়া। তিনি বিবাহিত দু‘সন্তানের জনক। তার ছোট ভাই বদরুলের সাথে তার স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে অনেকদিন ধরে। এ বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পারলে পারিবারিক ভাবে বহু বিচার শালিস করেও এর কোন সুরাহা করা যায়নি।

সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল বদরুল মিয়া সবার অজান্তে রাতের আঁধারে বড়ভাইর স্ত্রীর ঘরে গেলে তাকে হাতেনাতে ধরা হয়। এতে বড়ভাই মেরাজ মিয়া তার স্ত্রীকে পরদিন বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এ নিয়ে বদরুল মিয়া তার ভাইয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ করে। বৃহস্পতিবার( ৩১ এপ্রিল)  সন্ধ্যায় মেরাজ মিয়া ইফতারের পর বাড়ি থেকে বাজার করতে বের হন।

এরপর তাকে আর খোঁজে পাওয়া যায়নি। মৌলভীবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার (১ মে) সন্ধ্যার কিছু আগে এলাকার লোকজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে , আনকলীবড় গ্রামের একটি খালে মৃত অবস্থায় মেরাজ মিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ সন্দেহজনকভাবে বদরুল মিয়াকে আটক করে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বদরুল মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছে, ভাবীর সাথে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়া এবং সর্বশেষ তাকে তার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়াতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বড়ভাইকে হত্যা করেছে। মডেল থানা পুলিশ জানায়, মেরাজ মিয়া বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিতের পর খালে ফেলে বাড়ি চলে যায়। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন