নবাবগঞ্জে ঈদ কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না, দোকান গুলোতে উপচে পড়া ভিড়

বিপ্লব ঘোষ, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি.
সরকার ১০মে সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে শর্ত সাপেক্ষে দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। এতেই ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় সরকারী বিধি নিয়ম অমান্য করেই ব্যবসা বানিজ্য চলছে। বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকানে দোকানে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে কেনাকাটা করছে। এতে বাড়ছে ভাইরাস সংক্রমন ঝুঁকি।
এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন দিন দিন বেড়েই চলছে। দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজারের ওপরে। মৃত্যু আড়াইশ’র ওপরে। তবুও ক্রেতা বিক্রেতাদের উৎসাহ উদ্দিপনায়। যেন কিছুই হয়নি। এভাবে এ এলাকায় হাজার, হাজার নারী-পুরুষ ভাইরাস সংক্রমনের আশংঙ্কা রয়েছে। এ থেকে বাদ পড়বেনা শিশুরাও। এমন আশংঙ্কা করছে স্থানীয় জ্ঞানীজনরা।
সোমবার ও মঙ্গলবার দুপুরে নবাবগঞ্জের সবচেয়ে বড় মার্কেট বাগমারা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদের কেনাকাটা করতে বাজারে নারী ক্রেতাদের সংখ্যাই বেশী। সাথে ২/৩ মাসের কুলের শিশুও রয়েছে কয়েকজনের। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। দুরত্ব বজায় না রেখে গা ঘেষে বসে শপিং করছেন অধিকাংশ ক্রেতা। ও হা, ব্যবসায়ীরাও ঝুঁকির ব্যাপারে কোন তোয়াক্কা করছেন না। তাদের লক্ষ্য একটাই যত বেশী মালামাল বিক্রয় করা যায়।
জানা যায়, সরকার সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত দোকান-পাট শপিংমল খোলা রাখার সময় বেধে দিলেও ৫টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দোকান-পাট খোলা রাখছেন অনেকেই। কিছু কসমেটিক ব্যবসায়ী, মোদি দোকান ও বিভিন্ন ভ্যারাইটি শপ নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করছেন না। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজোরের শপিংমলগুলোতে একই অবস্থা বলেও জানা যায়।
রাজধানী ঢাকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমন মহামারি আকার ধারণ করেছে তবুও অনেক ব্যবসায়ীরা রজধানীতে গিয়ে পাইকারী ব্যবসায়ীদের থেকে মালামাল ক্রয় করে নিয়ে আসছেন এমন অভিযোগ ও রয়েছে অনেকের। তারা শহর থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আসতে পারে এবং ওই ব্যবসায়ীদের দ্বারা ভাইরাস ছড়ানোর আশংঙ্কা রয়েছে বলেও ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
শপিংমলে আসা বাবুল নামে এক ক্রেতা বলেন, দোকান-পাট খোলা না থাকলে আমারা আসতাম না। বাজারের চাঁদনী প্লাজার মালিক ও ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, ক্রেতারা নিয়ম মানছেন না। আমরা চেষ্টা করবো। বাজারের সিনিয়র কাপড় ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান বলেন, নিয়মনীতি না মানলে স্থানীয় প্রসাশনের উচিত দোকান-পাট বন্ধ করে দেয়া।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম সালাউদ্দিন মনজু জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন