বায়ুবাহিত করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যা করতে হবে

বায়ুবাহিত করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভিন্ন ধারণা ছিল। সম্প্রতি ২৩৯ গবেষকের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জের ফলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, জনবহুল, বদ্ধ জায়গায় করোনাভাইরাসের বায়ুবাহিত সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। শুরুর দিকে ধারণা করা হত যে হাঁচি বা কাশির ফলে ছড়ানো ড্রপলেটের মাধ্যমেই করোনাভাইরাস ছড়ানো সম্ভব। সে কারণেই মহামারীর শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষার জন্য হাত ধোয়াকে অন্যতম একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন।

তবে সংস্থাটির কর্তারা বলছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের ‘বায়ুবাহিত সংক্রমণের’ আশঙ্কা থাকতে পারে। যেখানে মানুষের ভিড় বেশি, ঘর বন্ধ কিংবা যেখানে বাতাস চলাচলের ভালো ব্যবস্থা নেই – সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না, এমন কথাই এখন বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিজ্ঞানীদের মতে, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শ্বাস-প্রশ্বাসের ড্রপলেটের ক্ষুদ্র সংস্করণ বা অ্যারোসল কণা দীর্ঘ সময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। এটি কয়েক মিটার পর্যন্ত ভেসে যেতে পারে। এটি যেসব ঘরে আলো-বাতাস কম বা বাসসহ অন্যান্য বন্ধ জায়গায় বেশি মারাত্মক হতে পারে। এমনকি এসব জায়গায় ১ দশমিক ৮ মিটার দূরত্ব রেখেও কোনো লাভ হয় না। সুতরাং, যেখানেই থাকুন না কেন, প্রবাহিত বাতাসের মধ্যে থাকতে হবে।

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন