কেরানীগঞ্জে চকলেটের লোভ দেখিয়ে দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার রোহিতপুরে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের দুই শিশুকে ধষর্ণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

গত ১৯ জুলাই সকালে প্রতিবেশী সুজন(৪৩) চকলেট খাওয়ানো প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মশুর গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে বিসমিকা(৬) ও ভুট্রু মিয়ার মেয়ে জান্নাত(৬) কে তার নির্জন বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণে চেষ্টা করে। পরে তাদের কে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দেয়।

ঘটনার একদিন পর শিশুরা ঘটনাটি তাদের অবিভাবকদের জানায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুজন খান (৪৩) পালাতক রয়েছে। তার পিতার নাম তুজমুল খান। রোহিতপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে তার একটি রেন্ট এ কারের ব্যবসা রয়েছে। বারবার ফোন দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

শিশুদের অবিভাবকরা জানান, প্রতিদিনের মতো সেদিন সকালে তাদের মেয়ে বাড়ির পাশে খেলাধুলা করছিলো। এবং শিশুদের বাবা-মা তাদেরকে ঘরে একা রেখে কাজে চলে যায়। এ সুযোগে প্রতিবেশী সুজন খান চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ ঘরে নিয়ে যায় শিশুদেরকে। পরে দরজা বন্ধ করে তাদের উলঙ্গ করে প্রথমে ছবি তুলে অতঃপর ধর্ষণ করতে প্রলুব্ধ হয়। বহু চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাদের ছেড়ে দেয় তিন সন্তানের জনক সুজন।

ভুক্তভোগী দুই শিশু জান্নাত ও বিসমিকার মুখেও শুনা গেছে একই কথা।

প্রতিবেশীরাও জানান, এর আগেও একাধিকবার এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে। বেশ কিছুদিন আগে রোহিতপুরে ৭ বছরের এক শিশুর সাথে হাতেনাতে ধরে পরে সুজন।

ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার চায়ের টেবিল থেকে উচ্চ মহলে একই আলোচনা। এর আগে এমন ঘটনা রটেনি এলাকার কোথাও। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিরাও নাম না বলার শর্তে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। অভিযুক্তের স্বজনরাও বলেছে কিছু না হলে কিছু রটেনা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলী জানান, ধর্ষণের ব্যাপারে আমার কাছে অভিযোগ এসেছিলো। কিন্তু বিষয়টি আমার আওতার বাহিরে হওয়ায় তাদের কে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তার এলাকায় এমন ঘটনা আগে ঘটেনি বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।

এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেয় মামলায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানায় শ্লীলতাহানির শিকার শিশু বিসমিকার বাবা ইকবাল। তবে মামলার সত্যতা মিলেনি। দেখা গেছে লিখিত অভিযোগ পত্রে পুলিশের কোন স্বাক্ষর বা সীলমোহর নেই।

ঘটনার ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মইনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অবহিত করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন