ভারত-চীনে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ১৭ লাখ

ভারতের বিহারে বন্যায় অন্তত ১০ জন মারা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের ১১ জেলার ১৫ লাখ মানুষ। রোববার রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।

বলা হয়, রাজ্যের দারভাঙ্গা জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত বা বাড়িতে পানিববিন্দ অবস্থায় রয়েছে।

মুজাফ্ফারপুর জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ মানুষ। পূর্ব চাম্পারানে আক্রান্ত ২ লাখ ৭২ হাজার বাসিন্দা।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর ১৭ টি এবং রাজ্যের ৮টি দল উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৬ হাজার বাসিন্দাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে ১৪ হাজার ১১ জনকে। জানিয়েছে রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

১ লাখ ৭৭ হাজার মানুষের খাবার নিশ্চিতে ৪শ’ ৩৬টি রান্নাঘর তৈরি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকায় প্যাকেটজাত খাদ্য সরবরাহ করছে দেশটির বিমান বাহিনী।

গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্রোতে ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি জায়গার বাঁধ।

এদিকে, চীনের হুবেই প্রদেশে বন্যায় ৫ জন মারা গেছে। নিখোঁজ রয়েছে একজন। সোমবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার রাতে জিয়ানশি কাউন্টির ইনশি তুজিয়া এবং মিয়াও অঞ্চলে ভারীবৃষ্টি হয়। এতে সেখানকার বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘটেছে ভূমিধসের ঘটনা।

সরকার বন্যা প্রতিরোধে ২ নম্বর জরুরি সতর্কতা জারি করা করেছে। ৪ নম্বর সতর্কতা দেশটির বন্যা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ জরুরি ব্যবস্থা।

রোববার রাতেও সেখানে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দা। উদ্ধার করা হয়েছে ৬০ হাজার মানুষকে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমির ফসল।

কাউন্টির নিম্নাঞ্চলে বন্ধ হয়ে যাওয়া যান চলাচল, যোগাযোগ, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হয়েছে বলে জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসন।

আপনি আরও পড়তে পারেন