নবাবগঞ্জে পানিবন্দী পরিবারগুলোর নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন ইউএনও

স্টাফ রিপোর্টার:

ঢাকার নবাবগঞ্জে বন্যার্তদের নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এইচ.এম সালাউদ্দিন মনজু৷

পার্শ্ববর্তী অন্যান্য উপজেলার মত নবাবগঞ্জে বান্যায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় বেশকিছু গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সেখানকার পানিবন্দী পরিবারগুলোর সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন।

অন্যদিকে জয়কৃষ্ণপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় পানিবন্দী পরিবারের মাঝে স্বাস্থ্য উপকরণ এবং তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল ধরনের খোঁজখবর নিচ্ছেন। বন্যার পানিতে যেন কোন ধরনের রোগ তাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য স্থানীয় মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের তিনি অবগত করছেন নিয়মিত।

শুধু তাই নয়, বেড়িবাঁধ নিয়মিত দেখাশোনা করছেন তিনি৷ এমনকি প্রতিদিনই সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ওই অঞ্চলের সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন।

ঢাকার জেলা দক্ষিণে একটি অঞ্চল নবাবগঞ্জ, দোহার এবং কেরানীগঞ্জ। এই অঞ্চলগুলোতে বন্যা ঠেঁকাতে বড় মাধ্যম বেড়িবাঁধ। বেড়িবাঁধ যেন কোন সমস্যা বা পানি প্রবেশ ঠেকাতে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷

রাত আর দিন নেই, বেড়িবাঁধের বিষয়ে কোনো তথ্য পেলেই ছুঁটে যান সেখানে। এমনকি ঐ এলাকায় গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যদের মাঝে জনসচেতনতামূলক অালোচনাও করে থাকেন৷ বন্যার এই দুর্যোগকালীন সময়টি বেড়িবাঁধ রক্ষায় তিনি অনেকটাই ভূমিকা রেখেছেন। এমনটাই বলছেন নবাবগঞ্জবাসী৷ তারা অারও বলছেন, একজন প্রথম শ্রেনীর সরকারি কর্মকর্তা হয়েও নেই কোন অহংকার। ধনী গরীব তার কাছে সবসময় সমান। তার কার্যালয়ে কোন সেবার জন্য গেলে নিজেই জিজ্ঞেস করেন, কেন এসেছেন৷ কি কাজে এসেছেন৷ অাপনার কি ধরনের সহযোগিতা করতে পারি৷ এভাবেই তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ.এম সালাউদ্দীন মনজু জানান, অাশপাশের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় নবাবগঞ্জে এখনো বন্যায় ঐভাবে ক্ষতি বা পানিবন্দী হয়ে পড়েনি৷ শুধু জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায় কিছু গ্রামের জনগণ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে সব বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন খোঁজখবর নিচ্ছেন। এমনকি বেড়িবাঁধে যেন পানি প্রবেশ না করতে পারে সে ব্যাপারে সকল ধরনের প্রদক্ষেপ নেওয়া হয় কোন বিগ্ন না ঘটে সেদিকেও নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন