কাশিয়াখালী বেড়িবাঁধ-এর ৩-৪টি স্থানে পানি ছুঁই ছুঁই । আতংকে ৬ লাখ মানুষ

বিপ্লব ঘোষ, ঢাকা জেলা প্রতিনিধি.
পদ্মানদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধিতে দোহারের নয়াবাড়ি, মাহমুদপুর, বিলাশপুর, সুতারপাড়া, নারিশা ও মুকসুদপুর ইউনিয়ন এবং নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরা ল ও নিমা ল প্লাবিত হয়েছে। ঘর-বাড়িসহ তলিয়ে গেলে জমির ফসল, মাছের ঘের।
এদিকে অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে দোহার-নবাবগঞ্জ রক্ষাবাঁধ (কাশিয়াখালী বেড়িবাঁধ)-এর সোনাবাজু এলাকায় ৩-৪টি স্থানে পানি চুঁইয়ে আসছে। এতে আতংকের মধ্যে রয়েছে দোহার নবাবগঞ্জের ৬ লাখ মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কিকরণ কেন্দ্র শ্রীনগর ভাগ্যকুল কেন্দ্রের বার্তায় জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত পদ্মানদীর পানি বিপদ সীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত পূর্বাভাসে আরো ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।
নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, ইউনিয়নের চারাখালি, মঠবাড়ি, তিতপালদিয়া, পশ্চিম সোনাবাজু, কান্তার টেক, নয়াডঙি, বালেঙ্গা, কেদারপুর, রায়পৃুর, আশয়পুর, ঘোষাইল, আর ঘোষাইল, পানি কাউর, কুঠরী গ্রামের রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি, স্কুল পানিতে তলিয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতির সাথে পানি বন্দি মানুষ গুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এদিকে ঝুকির মধ্যে রয়েছে বেড়িবাঁধের সোনাবাজু কয়েকটি অংশ।
দোহার-নবাবগঞ্জ রক্ষাবাঁধের কাশিয়াখালীর সোনাবাজু বাজারের বাবুর কাঠের দোকানের পাশে ৩-৪টি স্থানে পানি চুঁইয়ে আসছে। চেগারকোনা এলাকায় বাঁধের আধা ফুট নিচে পানি চলে এসেছে। এতে ঝুকির মধ্যে রয়েছে দোহার নবাবগঞ্জের ৬ লাখ মানুষের যান-মালের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মানিকগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জের চেগারকোনা বেড়িবাধ এলাকায় জানান, পরিদর্শন করে ঝুকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে মেরামত করা হচ্ছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজু জানান, বাঁধ এলাকায় সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। এছাড়া বন্যাদূর্গতদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ড ঢাকা বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আইনুল হক বলেন, বন্যা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে এ অ লে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন