বীরগঞ্জে প্রথমবারের মতো রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা রোপণ

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ইয়ানমার ওয়াকিং টাইপ রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে প্রথমবারে মতো মিনিশাইল ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। কৃষিতে প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়াতে, কম সময়ে সাশ্রয়ী মূল্যের এ রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিনটি ধান উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।   

বুধবার (২৯ জুলাই) দিনাজপুরের বীরগঞ্জে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এসিআই মোটরসের আয়োজনে উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে কৃষকদের সুদবিহীন স্বল্প মেয়াদে এ মেশিন দেওয়া হয়। আর এ মেশিনের মাধ্যমে বুধবার (২৯ জুলাই) ধানের চারা রোপণের মধ্যে দিয়ে মাঠ দিবস পালন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তৌহিদুল ইকবাল বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বর্তমানে পৃথিবী একটি সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। এই সংকটের বাইরে আমাদের দেশও বাইরে নয়। আমাদের দেশে অনেক মানুষ আক্রান্ত। এর প্রভাব পড়েছে কৃষি ক্ষেত্রে। এই সংকট মোকাবিলায় সরকার কৃষি ক্ষেত্রে যান্ত্রিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে সরকার ভতুর্কি দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছে।

সরকারের পাশাপাশি এসিআই কৃষকদের পাশে এগিয়ে এসেছে। এসিআইয়ের উদ্যোগে ইয়ানমার ওয়াকিং টাইপ রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহারে কৃষকদের সময়, অর্থ সাশ্রয় এবং কৃষি ও সমস্যা মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।

এর ব্যবহারের ধানের চারা রোপণের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে দূরত্ব এবং লাইন বজায় রাখা যাবে এবং এতে ফলন ভালো হবে ও কৃষকদের খরচ কম হবে বলে আশা করা যায়। বলেন তিনি।

মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামান, এসিআই এগ্রিবীজ প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. শফিকুর রহমান, উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা, উপকার ভোগী কৃষক মো. জুয়েল এবং মো. দেলোয়ার হোসেন।

ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে কৃষক মো. দেলোয়ার হোসেনের জমিতে বিনামূল্যে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে এলাকায় ২ হাজার একর জমিতে চারা রোপণ করা হবে। নতুন এ মেশিনের দাম পড়ছে ১০ লাখ টাকা সেখানে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে ৫ লাখ টাকা। সুদবিহীন স্বল্প মেয়াদে কৃষকরা এটি ক্রয় করতে পারবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন