দোহারে সুদের টাকার সুদ দিতে না পারায় এক মহিলাকে শারীরিক নির্যাতন

ঢাকার দোহার উপজেলার রাইপাড়া ইউনিয়নের করিমগঞ্জ গ্রামের মন্নু বেপারীর ভাড়াটিয়া মরিয়ূম আক্তার (মরনী) (৩৭) কে শারীরিক নির্যাতনের খবর পাওয়া গিয়েছে। গতকাল ৩ আগষ্ট সোমবার দুুপুরে মন্নু বেপারীর উঠানে এ ঘটনা ঘটে। মরিয়ম আক্তার (মরনী) পিতা মৃত আঃ কুদ্দুসের মেয়ে এবং তিনি একজন খুদে ব্যবসায়ী বিভিন্ন মেলায় ও বিবাহ অনুষ্ঠানে ছোট ছোট স্টল দিয়ে আয়না চিড়নী,চুড়ি ও বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করে। স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবেশী সোনিয়া সহ একাধিক জনের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা জানা যায়। প্রতিবেশীরা আরো জানান সুদের টাকার সুদ নিতে পাশ্ববর্তী জামালচর গ্রামের আব্দুর রশিদ মোচন নামে এক ব্যাক্তি মরনীর কাছে প্রতি মাসেই সুদের লাভের টাকা চাইতে আসে। মরনী লাভের টাকা দিতে অপারগতার কথা জানালে দুইজনে বাকবিতন্ডায় জরিয়ে পরে এবং একপর্যায়ে অশালীন গালাগালি শুরু করেন মোচন এবং বাঁশের টুকরো দিয়ে অনেক মারধর করে। খুদে ব্যাবসায়ী মরমী জানান বর্তমান করোনা ভাইরাস এর কারনে তার ব্যাবসা বিলুপ্তির পথে তাই তিনি মোচনের কাছে সময় চাইলে তার কোন কথাই না সুনে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করলে এলাকাবাসীরা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। এবিষয়ে মরনীর কাছে টাকার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান আড়াই বছরেরও আগে মোচনের কাছ থেকে লোন হিসাবে ২০ হাজার টাকা প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে লাভ দেওয়ার কথা বলে নেই। আমি ২৪ মাসে ৪৮ হাজার টাকা পরিশোধও করি। বর্তমানে করোনা ও বন্যায় আমার ব্যবসা বন্ধ কিন্ত মোচন আমার কথা না সুনে আমাকে এমন মারা মারলো এখন আমার চলতে ফিরতে অসুবিধা হচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত বিচার চাই। এবিষয়ে সুদখোর আব্দুর রশিদ মোচনের বাড়িতে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি বাসায় নাই বলে জানান তার পরিবার। তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি তবে তার পরিবারের একজন আগামীর সময় পত্রিকার প্রতিনিধিকে জানান আমাদের কোন অভিযোগ নাই এবং এবিষয়ে আর কিছু বলতে পারবো না। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ নাঈমের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছে ভুক্তভোগী মরনী। আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি এবিষয়ে জানান বিষয়টি জানা ছিলোনা এখন জানলাম এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাইপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক জানান বিষয়টি দুঃখজনক অমানবিক বর্তমান প্রেক্ষাপটে সুদের টাকা কেন কোন টাকাই পরিশোধ করার মত নয়। আমি আজ অনেক বিজি ছিলাম আগামীকাল বুধবার ঐ মহিলাকে দেখতে যাবো। যদি দু’পক্ষই আমার কাছে আসে তাহলে উপযুক্ত বিচার করে দেবো। এঘটনায় মরিয়ম আক্তার মরনী বাদী হয়ে শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে দোহার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল জানান অভিযোগ পেয়েছি অপরাধীকে গ্রেফতার করার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন