গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা!

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে শশুরবাড়িদে গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দিবাগত রাত ৯টায় মনোহরগঞ্জ উপজেলার কৈয়ারপাড়া গ্রাম থেকে লিপি আক্তার (২৫) নামে ওই দুই সন্তানের জননীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল পদুয়াপাড় গ্রামের ইদ্রিছ টেইলারের মেয়ে।

পরিবার সূত্রে জানা যায, ২০১৫ সালে লিপির বিয়ে হয় মনোহরগঞ্জ উপজেলার কৈয়ারপাড়া ভূঁইয়া বাড়ির খুরশিদ আলমের ছেলে মুদি দোকানি দেলোয়ার হোসেনের সাথে। নিহত লিপি দুই সন্তানের মা। এক বাচ্চার বয়স তিন বছর ও আরেকটির বয়স দশ মাস। লিপির পরিবারের অভিযোগ ও তাদের ধারনা, লিপিকে তার স্বামী আর শ^শুর মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করতে পারে।

নিহত গৃহবধূ লিপির বড় ভাই মো. সাদ্দাম জানান, এবারের ঈদে লিপি শ^শুর বাড়ি থেকে তাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিলো। সোমবার সকালে লিপি জানায় তার স্বামী তাকে যেতে দিচ্ছেন না। সকালে লিপি এইসব কথা বলার পর বিকেলে তার স্বামী আমাদেরকে মোবাইল ফোনে খবর দেন লিপি স্টক করেছে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে।

আমরা তাদের বাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখি বোনকে দাফনের প্রস্তুতি চলছে। আমরা মুখ দেখতে গিয়ে স্থানীয় মানুষজনের কথা শুনে কাপড় সরিয়ে গলায় দাগ দেখতে পাই। তখন তার শ^শুর ও স্বামী জানায় লিপি আত্মহত্যা করেছে। তখন আমাদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে বোনের শ^শুর এবং স্বামী আমাদেরকে মারধর করে।আমরা রক্ষা পেতে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে পুলিশ আমাদেরকে এবং আমার বোনের মরদেহ নাথারপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।

নাথারপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ি’র এসআই মো. নূরুল আলম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে রাতে থানায় নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সকালে মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর গলায় ওড়না ও রশি পেছানোর দাগ রয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে মেয়ের বাবা ইদ্রিছ।

আপনি আরও পড়তে পারেন