প্রয়োজনে’ বিদেশে চিকিৎসার আবেদন করতে পারবে খালেদার পরিবার

 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার ছয় মাসের স্থগিতাদেশের সময়সীমা শেষ পর্যায় উপনীত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাবে তার পরিবার। এ তথ্য জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্মমহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন।

আজ শনিবার ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘দেশে চিকিৎসার পাশাপাশি আবদনে “প্রয়োজনে” বিদেশে চিকিৎসার কথাও উল্লেখ করতে পারেন চেয়ারপারসনের পরিবার।’

চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ট সূত্র বলছে, চলতি আগস্ট মাসেই এ আবেদন করা হতে পারে। আবেদনে যা-ই থাক আপাতত চেয়ারপারসনের দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো চিন্তা অথবা ইচ্ছে নেই বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সাজা স্থগিতের সময় বাড়াতে পরিবার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অতীতের মতো পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু তারা আগে আবেদন করে, সরকারের সাথে কথা বলে সাজা স্থগিত করেছিলেন। এখন যেহেতু ম্যাডাম সুস্থ হননি, তিনি একেবারেই একই (আগের) অবস্থাতেই আছেন। সুতরাং সাজা স্থগিতের সময়টা বাড়ানো এখন জরুরি প্রয়োজন। সময় মতোই পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হবে।’

গুলশানের বাসা ‘ফিরোজাতে’ রয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি আর্থারাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন। ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের চিকিৎসা যেটা চলছিল সেটাই চলছে। হাসপাতালের ডাক্তাররা যেটা চিকিৎসা দিয়েছিলেন সেটাকেই ফলোআপ করছেন এখন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা। এখন যতটুকু সম্ভব তার যে বউমা (ডা. জোবায়দা রহমান) আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তার পরামর্শ নিয়ে ম্যাডামের চিকিৎসাটা চলছে।’

আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হবে। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিত করা হয়। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন।

আপনি আরও পড়তে পারেন