বঙ্গবন্ধু টানেলের একটি টিউবের খনন শেষ

করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের একটি টিউবের বোরিং মেশিনের মাধ্যমে খনন কাজ শেষ হয়েছে। সেই সাথে কয়েক মাসের মধ্যে আরেকটি টিউবের খনন কাজও শুরু হবে। গুরুত্ব দিয়ে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের কাজ চলমান থাকার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। সেই সাথে টানেল নির্মাণ শেষ হলে অর্থনৈতিক বিপ্লব হবে বলে আশাবাদ ব্যবসায়ীদের।

তিনতলার সমান উচ্চতার ক্যাপসুল আকারের যন্ত্রদানবের নাম টানেল বোরিং মেশিন। যন্ত্রটি শহরের প্রান্তে নেভাল একাডেমির কাছে নদীর কোল ঘেঁষে মাটির ১২ মিটার গভীরে বসানো হয়েছিল। এই যন্ত্রদানব নদীর তলদেশের নিচ দিয়ে মাটি কেটে খনন কাজ চালাতে থাকে।

চার লেন বিশিষ্ট দুটি টিউব সম্বল্লিত ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত হচ্ছে টানেল। এর মধ্যে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা উপজেলা পর্যন্ত বোরিং মেশিনের মাধ্যমে একটি টিউব টানেলের ২ হাজার ৪৫০ মিটারের কাজ শেষ হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হবে দ্বিতীয় টিউবের কাজ, জানান প্রকল্প পরিচালক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

করোনা মহামারি শুরু হত্তয়ার পর থেকে নগরীর বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ছিল বন্ধ। কিন্তু প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করে করোনার মধ্যেও কর্ণফুলী টানেলের কাজ চলমান থাকার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।

এ বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান বলেন, ‘চট্টগ্রামকে নিয়ে বিশ্বমানের স্বপ্ন দেখছি। চট্টগ্রামের অর্থনীতি অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আমরা আশা করছি। সবকিছু মিলিয়ে সফল প্রকল্প মনে হচ্ছে আমার।’

এ টানেল নির্মিত হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাথে কানেক্টিভিটির মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন  চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি  মাহবুবল আলম।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে টানেলের নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির ৫৭ শতাংশ কাজ হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন