কিশোরকে মদ পান করিয়ে টিকটক ভিডিও তৈরি, গ্রেফতার ৮

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বাদাঘাট বাজারের এক কিশোরকে মদ পান করিয়ে টিকটক ভিডিও তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাহিরপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাররা সবাই জেলার বিভিন্ন উপজেলার স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী।

সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। ১৩ বছর বয়সী কিশোর শরিফ উপজেলার বাদাঘাট ইউপির লাউড়েরগড় গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

রোববার (২৩ আগস্ট) দুপুরে শরিফের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তর বড়দল ইউপির আ. গফুরের ছেলে মোজাম্মেল হকসহ মদ পান করানো ও টিকটক তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকায় উত্তর ইউপির কামড়াবন্দ গ্রামের শেখ আব্দুর রহমানের ছেলে আলম শেখ, আনোয়ার হাসেন রুমানের ছেলে তারেক, নাজিম উদ্দিনের ছেলে দীপু, বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি, বাদাঘাট গ্রামের খুরশিদ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ, দক্ষিণ বড়দল ইউপির পাগলপুর গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে মনির মিয়া ও হাবিবুর রহমান সংগ্রামের ছেলে সাগরকে জড়িত সন্দেহে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

রোববার রাতে আটকদের ও শরিফকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় শরিফের বড় ভাই শামীম বাদী হয়ে গ্রেফতার আটজনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও আইসিটি আইনে একটি মামলা করেন।চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষের দিকে বাদাঘাট বাজারের সততা স্টোরের মোজাম্মেল হকের ফেসবুক আইডি থেকে অভিভাবকদের সচেতন করার জন্য প্রশাসন ও সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিশোর শরিফের ছবি ও একটি ভিডিও আপলোড করা হয়।

ওই ভিডিও’র বিষয়ে শরিফ জানায়, বাদাঘাটের কয়েক যুবক তাকে জোর করে মদ পান করিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রকমের টিকটক ভিডিও তৈরি করে তা ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে।

বিষয়টি সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের এসপি মো. মিজানুর রহমান নজরে আসলে তার দিকনির্দেশনায় তাহিরপুর থানার ওসি আতিকুর রহমান ও বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান বিষয়টি গোপনে তদন্ত শুরু করে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ভিকটিমের বড় ভাই শামীম বাদী হয়ে মোট ১০জনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। গ্রেফতার আটজনকে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন