এমা রবার্টস ও তার প্রিয় দুই পুরুষ

গত জুনেই এ খবর জানা গিয়েছিল, মা হচ্ছেন হলিউড অভিনেত্রী ও সংগীত তারকা এমা রবার্টস। খবরটা এখন বেশ পুরানো। তবে নতুন তথ্য হচ্ছে ছেলে সন্তানের মা হচ্ছেন তিনি।

‘আমেরিকান হরর স্টোরি’ খ্যাত এই তারকা নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে। সেই সাথে পোস্ট করেছেন বেবি বাম্পের একাধিক ছবি।

একটি ছবিতে এমাকে একাই দেখা গেছে। সাদা গাউনে সোফায় বসে পোজ দেন তিনি। আরেকটি ছবিতে তাকে দেখা গেছে অনাগত সন্তানের বাবা তার বয়ফ্রেন্ড গ্যারেট হ্যাডল্যান্ডের সাথে পোজ দিতে। যেখানে দুজনকেই বেশ আনন্দিত দেখা যায়।

ওই ছবি পোস্ট করে এমা লেখেন, আমি এবং আমার প্রিয় দুই পুরুষ। এর থেকেই বোঝা যায় তার অনাগত সন্তান একজন ছেলে।

এই পোস্টের পরই শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসতে থাকেন অভিনয় দম্পতি। হলিউডের বেশ কয়েকজন তারকাও তাদের শুভেচ্ছা জানান।

এমার খালা জুলিয়া রবার্টস মন্তব্য করেছেন ওই পোস্টে। তিনি লেখেন, ভালোবাসি তোমাকে। সেই সাথে জুড়ে দেন একটি লাভ ইমো।

কয়েকদিন আগে মা হওয়া অভিনেত্রী লি মিশেল লেখেন, আশা করি তুমি পৃথিবীর সেরা মা হবে। ভালোবাসি তোমাকে। মা ছেলে একসাথে।

হ্যাডল্যান্ড ও এমা জুটি গত তিন বছর ধরে লিভ ইন করছেন। এর আগে  ‘আমেরিকান হরর স্টোরি’র অভিনেতা ইভান পিটার্সের সাথে সম্পর্কে ছিলেন এমা। তাদের বাগদানও সম্পন্ন হয়েছিল। তবে অজানা কারণে ভেঙে যায় বিয়ে।

অন্যদিকে, অভিনেত্রী ক্রিশ্চেন ডানসেটের সাথে ৫ বছর প্রেম করলেও সম্পর্ক টেকাতে পারেননি হ্যাডল্যান্ড। ২০১৭ সালে ভেঙে যায় তাদের প্রেম। এরপরই এমার সাথে পরিচয় ও প্রণয়।

এদিকে, সন্তানের মা হতে চললেও আপাতত বিয়ের চিন্তাভাবনা নেই এই জুটির। গত জুনে এক সাক্ষাৎকারে এমা জানিয়েছিলেন, তারা বিয়ে নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন।

এমা একাধারে অভিনেত্রী, মডেল এবং গায়িকা। ব্লো নামক চলচ্চিত্রে কিছু ছোট ভূমিকার পর ‘আনফেবুলাস’ নামক একটি টেলিভিশন সিরিজে এডি সিঙ্গেরের চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। এই চরিত্রের জন্য তিনি টিন চয়েস এ্যাওয়ার্ড এবং সিক্স ইয়ং আর্টিস্ট এ্যাওয়ার্ডের জন্য জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।

২০০৬ সালে আকুয়ামারিন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০০৭ সালে ন্যান্সি ড্রিউ এবং ওয়াল্ড চাইল্ড চলচিত্রে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কয়েকটি টিভি সিরিজেও দেখা গেছে তাকে।

ক্রাইম থ্রিল্লার ৪.৩.২.১ (২০১০), দ্যা হরর সক্রিম ৪ (২০১১), উই আর দ্যা মিলারস (২০১৩) এবং দ্যা ড্রামা পালো অল্টো (২০১৩) তার উল্লেখযোগ্য ছবি। তবে তিন বছরে এই অভিনেত্রীর কোনো ছবি মুক্তি পায়নি।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন