করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে শিল্পগুলো

মহামারি করোনা ভাইরাসে অনেকটা বিপর্যস্ত প্রতিটা দেশ। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। টানা কয়েক মাস লকডাউনে ভেঙ্গে পড়েছে অনেক দেশের অর্থনীতি সহ অন্যান্য সকল খাত। করোনায় আক্রান্তে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র। এর পরেই আছে ভারত, ব্রাজিল সহ অন্যান্য দেশ। করোনা দীর্ঘসময় ধরে আমাদের গতিময় জীবনকে থামিয়ে রেখেছে। 

এই মহামারিতে দীর্ঘ কয়েক মাসে বিশ্বের অনেক দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক অর্থনৈতিক ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলুন জেনে নেই করোনাভাইরাসের কারণে কোন কোন ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব পড়েছে-

পর্যটন: করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পর্যটনে খাতে। করোনায় এয়ারলাইন্স এবং পর্যটন রিসোর্টগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ছিল। যার জন্য পর্যটন ব্যবসা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ভ্রমণসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

স্বাস্থ্যসেবা: করোনায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা। এমনকি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংক্রমণ প্রতিরোধ সরঞ্জাম সরবরাহের অভাব, নিরাপদ দূরত্ব না মানা, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের অদক্ষতার কারণে অসংখ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। ফলে অনেক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

ফাস্ট ফুড: করোনা ঠেকাতে লকডাউন করে সব ধরনের ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে ফাস্ট ফুড ব্যবসা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ এ ব্যবসায় প্রতিদিনই আয় হতো। যেখানে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছিল আয়ের মূল উৎস।

চলচ্চিত্র: সব ধরনের অভিনেতাকে মহামারি চলাকালীন কাজ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণকাজ। অনেক চলচ্চিত্রের নির্মাণ বা প্রকাশ পিছিয়ে যায়। অনেক কাজ বাতিলও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দীর্ঘসময় ধরে লোকাসনের মধ্যে বড় প্রতিষ্ঠান টিকে থাকলেও মাঝারি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ঝরে পড়ছে।

সংগীত: করোনায় কনসার্ট বাতিল থেকে শুরু করে অ্যালবাম রিলিজও বাতিল হয়েছে। যার ফলে সংগীত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বড় বড় শিল্পীরা ভার্চুয়ালি কনসার্ট, লাইভ, ইউটিউবের মাধ্যমে কিছু আয় করলেও বেশিরভাগ শিল্পী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন