নবাবগঞ্জে মোটর সাইকেল চালকের রহস্যজনক মৃত্যু

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার নবাবগঞ্জে মো. জাকির হোসেন (৪২) নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত জাকির উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের চর শৈল্যা গ্রামের আবুল কালামের বড় ছেলে। সে মোটর সাইকেলে যাত্রী বহনের কাজ করতো। পরিবারের অভিযোগ, জাকিরকে পরিকল্পিত ভাবে ফোন করে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের পিতা জানান, বুধবার দুপুরে চর শৈল্যার বাড়ি থেকে জাকিরকে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে যায় খেজুরবাগ এলাকার শফিকুল। বিকালে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আমাকে জানান, জাকির অসুস্থ অবস্থায় শফিকুলের বাড়িতে পড়ে আছে। আমি গিয়ে জাকিরকে শফিকের ঘরের সামনে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। এসময় তার শরীরে বালু মাখানো ছিলো এবং মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিলো। পরে শফিকুলের বোন ঘরের দরজা খুলে জাকিরের শার্ট এবং মোটর সাইকেলের চাবি দেয়। তাকে অজ্ঞান অবস্থায় নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যায় জাকির।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, জাকির দীর্ঘবছর ধরে মোটর সাইকেলে যাত্রী বহনের কাজ করতো। সেই সাথে তিনি ধর্মভীরু ছিলেন। কি কারণে তাকে এই ভাবে পরিকল্পিত হত্যা করা হলো সেই প্রশ্ন এখন সবার মনে বিরাজ করছে।
তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, খেজুরবাগ এলাকার শফিউদ্দিনের ছেলে জাকির, একই এলাকার আলমগীরের ছেলে প্রিন্স এবং ওই এলাকার জুয়েল সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন পরিকল্পিত ভাবে জাকিরকে হত্যা করেছে।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানায়, শফিকুল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িত। থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা সহ একাধিক মারামারির মামলা রয়েছে। সে পলাতক ছিল। হঠাৎ গত পরশু এলাকায় আসে শফিকুল। বুধবার দুপুরে জাকিরের সাথে এই ঘটনা ঘটে এবং বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যায় সে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবার সুষ্ঠ তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, আমরা প্রথমে খবর পেয়েছি জাকির আত্মাহত্যা করেছে। আবার শুনলাম গাড়ি দূর্ঘটনা ঘটেছে। আবার নিহতের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে নেশা জাতীয়দ্রব্যের সাথে কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন