প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অপমান যুদ্ধাপরাধের শামিল : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মন্তব্য করেছেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অপমান করা মানে মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করা এবং এটা যুদ্ধাপরাধের শামিল।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বক্তৃতাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘কটূক্তিমূলক নাটক’ প্রচারের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইয়াসিন আলী প্রমুখ।

গয়েশ্বর বলেন, আজকে জনগণ আর মানববন্ধন দেখতে চায় না, দেখতে চায় প্রাণবন্ধন। আজকে জনগণ মুখে স্লোগান শুনতে চায় না, অ্যাকশন দেখতে চায়।

তিনি বলেন, আজকে এ অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের গণতান্ত্রিক শক্তিকে ডাইরেক্ট অ্যাকশনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। জনগণ এখন দেখতে চায় আমরা কী করছি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আমাদের কথা বলার চেয়ে দায়িত্ব হলো কিছু করা। মানুষ এখন মুক্তি চায়। (হুসেইন মুহম্মদ) এরশাদের বিরুদ্ধে যেমন আন্দোলনে-মিছিলে একটি বাক্য ছিল ‘এক দফা এক দাবি এরশাদ তুই করে যাবি’, জনগণের দাবি ছিল এক, এরশাদের পদত্যাগ। সেই প্রতিবাদের স্লোগান আজকেও হতে হবে।

জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের ইতিহাস বিকৃতির সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমানকে অপমান করা মানে মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করা, জিয়াউর রহমানকে অপমান করা মানে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা। জিয়াউর রহমানকে যারা অপমান করে বা তার সম্পর্কে অরুচিশীল বক্তব্য দেয়, তাদের অপরাধ যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য। একদিন তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবেই। সেই দিনটি আমাদের আনতে হবে। সেই দিনটি আনতে পারলে আজকের বিচারপতিরাই ন্যায়বিচার করতে পারবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন