মেসির গোলেই বিশ্বকাপ বাছাই মিশন শুরু আর্জেন্টিনার

কাতার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আর্জেন্টিনার শুরুটা হলো জয় দিয়ে। সেই জয়টাও এলো লিওনেল মেসির একমাত্র গোলেই। ম্যাচের ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। লা বোম্বোনেরার ম্যাড়মেড়ে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছে ওই গোলেই।

বক্সের ভেতর ডানদিকে ঢুকে পড়া লুকাস ওকাম্পোসকে ফাউল করে বসেছিলেন এস্তুপিনান। পরে সেখান থেকেই পেনাল্টি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। স্পট কিক থেকে জোরালো শটে ডানদিকে বল জড়িয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিজের ৭২তম গোল পেয়ে যান তখন মেসি। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে মেসির সামনে আছেন কেবল পেলে। ফুটবল কিংবদন্তির আন্তজার্তিক গোল ৭৭। পেলের সেই রেকর্ড ছুঁতে মেসির দরকার আর মাত্র ৫ গোল।

প্রায় এক বছর পর খেলতে নেমে খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলো বোঝাপড়ার অভাব, মাঠে দেখা গেছে ভুল পাসের ছড়াছড়ি। এর সঙ্গে আবার যোগ হয় ইকুয়েডরের শরীরী ফুটবলের মেলা। যে কারণে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। তবু জয় পাওয়ায় সন্তুষ্টি অধিনায়ক মেসির কণ্ঠে।

ম্যাচশেষে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক জানালেন, ‘আমরা জানতাম এটা খুবই কঠিন হতে চলেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা ম্যাচটা জিতেছি এবং আমাদের এখন নিজেদের খেলার উন্নতির জন্য কাজ করে যেতে হবে।’

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শুরুটা জয় দিয়ে করার গুরুত্ব বুঝিয়ে মেসি আরও বলেন, ‘বাছাইপর্ব কতটা কঠিন হয় তা সবারই জানা। তাই জয় দিয়ে শুরুটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে সব ম্যাচই কঠিন। আমরা এমন লড়াইয়ের কথা ভেবেই রেখেছিলাম। লম্বা সময় ধরে খেলার বাইরে। যে কারণে উদ্বেগটাও ছিলো চরমে।’

এসময় চলতি বছরের নানান ঝামেলা ও খেলায় বিরতির কথাও তুলে ধরেন মেসি। তবে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলতে পারার আনন্দটা সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় বলেই এসব ম্যাচে বাড়তি আনন্দ তার। এই খেলার মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি বাড়তি শক্তি সঞ্চার করার কথাও জানান মেসি।

তার শেষ কথা, ‘পুরো বছরটা খুবই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং। আমরা এখন যা দেখছি তা কেউ কখনও আশা করেনি। তবে জাতীয় দলের হয়ে আবার খেলতে পারা, ম্যাচ জেতার মাধ্যমে মানুষদের আনন্দ দিতে পারাটা আসলে খেলার স্বার্থেরও ঊর্ধ্বে; এটা চাপ কমিয়ে দেয়। আমি এই খেলার মাধ্যমে প্রত্যেক আর্জেন্টাইনকে সাহস ও শক্তি পাঠাতে চাই।’

আপনি আরও পড়তে পারেন