সুনীল নারিনের বোলিং অ্যাকশনে সন্দেহ

সবে কিছুটা পুরনো ফর্মের ঝলক দেখা যাচ্ছিল। ভালোভাবে সেই স্বস্তি উপভোগের আগেই কলকাতা নাইট রাইডার্সে শিবিরে তৈরি হল উদ্বেগ। কারণ আবারও সুনীল নারিনের সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠল।

শনিবার কিংস ইলেভন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে বোলিং অ্যাকশনের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছেন আম্পায়ারা।

আইপিএলের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আবুধাবিতে কিংস ইলেভন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তাঁর দলের ড্রিম ১১ আইপিএল ম্যাচের সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলোয়াড় সুনীল নারিনের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের রিপোর্ট জমা পড়েছে।’

টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নীতি অনুযায়ী, পঞ্জাব বনাম কলকাতা ম্যাচের দুই অনফিল্ড আম্পায়ার (উলহাস গন্ধে এবং ক্রিস গ্যাফানে) সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। আপাতত নারিনকে সতর্কতার তালিকায় রাখা হয়েছে। এখন তিনি বলও করতে পারবেন। তবে এরপর সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়লে নারিন আর বল করতে পারবেন না।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আর একবার রিপোর্ট জমা পড়লে যতক্ষণ না বিসিসিআইয়ের সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন কমিটির তরফে ছাড়পত্র পাচ্ছেন, ততক্ষণ এবারের আইপিএলে আর বল করতে পারবেন না নারিন।’

তবে নারিনের বিরুদ্ধে অবৈধ বোলিংয়ের অভিযোগ নতুন নয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের রিপোর্ট জমা পড়েছিল। পরে সেই অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের সেই মাসের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর বোলিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় আইসিসি। পরে নয়া অ্যাকশনে বোলিং শুরু করলে নারিনের ধার কমে যায়। যা তাঁর পারফরম্যান্সেও স্পষ্ট ছিল। তারপরও ২০১৮ সালের পাকিস্তান সুপার লিগেও নারিনের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ উঠেছিল।

আপনি আরও পড়তে পারেন