নবাবগঞ্জ থানা হাজতে ‘গলায় ফাঁস দিয়ে’ আসামির মৃত্যু

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার নবাবগঞ্জের থানা হাজতে গলায় ফাঁস দিয়ে মামুন মিয়া নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নিজের পরিহিত লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যায় মামুন।

লাশটি ময়নাতদন্তর জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন, নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সিরাজুল ইসলাম।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, গত রোববার সকালে উপজেলার দেওতলার খ্রিষ্টানপল্লীর বাঁশ বাগান থেকে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ওই নারীর পরিচয় মিলে। সে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানা লস্করপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৩০)।

অটোরিকশা চালক মামুন মিয়া রাজিয়াকে হত্যা করে লাশ গুম করতে অন্য স্থানে ফেলে আসে। সোমবার ওই নারীর স্বজন ও এলাকাবাসী বিষয়টি আচঁ করতে পেরে মামুনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে  শ্রীনগর থানায় সোপর্দ করে। মঙ্গলবার সকালে নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে আসামিকে হস্তান্তর করে। দুপুরে নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাথমিকভাবে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর থানা-পুলিশ তাকে আদালতে পাঠাতে প্রস্তুতি নেয়। এর ফাঁকে আসামি মামুন তার পরিহিত লুঙ্গি দিয়ে হাজত খানার ভেতর টয়লেটের জানালার সঙ্গে ফাঁস দেয়।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি শেখ সিরাজুল ইসলাম তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার, নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাশটি সুরতহাল করে ময়না তদন্তর জন্য ঢাকা প্রেরণ করে।

উল্লেখ্য, নারীর লাশ উদ্ধারের পর রোববার রাতে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফাঁস দিয়ে মারা যাওয়া মামুনের লাশ ময়নাতদন্তর জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন