বান্দরবানে পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওরিয়েন্টেশন

বান্দরবানে পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওরিয়েন্টেশন

বান্দরবানে পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওরিয়েন্টেশন

: দেশব্যাপী কর্মশালার অংশ হিসেবে বান্দরবানেও ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সাপোর্ট টু হেলথ এন্ড নিউট্রিশন টু দি পুওর ইন আরবান বাংলাদেশ’ প্রকল্পে পৌরসভার সংশিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে ১ দিন ব্যাপি পরিচালিত ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রর বাস্তবায়নে (১৩ অক্টোবর) মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান পৌরসভার কনফারেন্স রুমে বান্দরবান ও লামা ২টা পৌরসভার জন- প্রতিনিধিদের নিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ওরিয়েন্টশন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

ওরিয়েন্টশন কর্মসূচীতে বান্দরবান পৌরসভার প্যানেল মেয়র দীলিপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী । বিশেষ অতিথি ছিলেন বান্দরবান পৌরসভার সচিব তৌহিদুর রহমান, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের ডেপুটি ম্যানেজার কামরুল ইসলাম মারুফ’সহ প্রমুখ।

এসময় ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচীতে বান্দরবান ও লামা পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।

উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সহায়তায় পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র ১ বছরের মধ্যে সারাদেশের সকল পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচী বাস্তবায়নের কাজ করবেন।
লামায় শ্বশুর জামাই দু’পক্ষের কোপাকুপিতে আহত ৪ জন
বান্দরবান প্রতিনিধি বশির আহমেদ,

বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের গাজীপাড়া এলাকায় জামাই ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মধ্যে কোপাকুপিতে দু’পক্ষের ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার (১২ অক্টোবর ২০২০ই) দিবাগত রাত সোয়া ১০টায় গাজীপাড়া আবু বক্কর ছিদ্দিকের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা লামা হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শশুর বাড়ির পক্ষের তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চমেক হাসপাতালে রেফার করে।

আহতরা হল, শ্বশুর আবু বক্কর ছিদ্দিক (৫৫) পিতা- ওসমান আলী লসকর, আরিফুল ইসলাম (৩০) পিতা- রহমত উল্লাহ, হোসনে আরা (২২) স্বামী- আরিফুল ইসলাম ও জামাই শেখ মূসা (২৬) পিতা- শেখ মহসিন। সকলে রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গাজীপাড়ার বাসিন্দা।

আহত হোসনে আরা বলেন, রাত সোয়া ১০টার দিকে তার ছোট বোন মাসুরা বেগমের স্বামী শেখ মূসা তাদের বাড়িতে জায়গার কাগজের বাহানা দিয়ে এসে ঝগড়া সৃষ্টি করে। আমার বাবা স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি জানাতে ফোন করতে চাইলে মূসা তাকে মারধর শুরু করে। তার পরপরই মূসার বাবা শেখ মহসিন আসে। সে আসার পরই মূসা সবাইকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে। ছুরি মূসা নাকি তার বাবা এনেছে তা আমরা অন্ধকারে দেখিনি। তবে আমার বাবা আবু বক্কর ছিদ্দিক ও স্বামী আরিফুল ইসলামকে মূসা ছুরি দিয়ে জখম করে।

তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে আমার ছোট বোন মাসুরা ও তিনদিন আগে আমার মাকেও মূসা লাঠি দিয়ে মেরে আহত করে। আজকে আমার মা হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসে।

শ্বশুর বাড়ির লোকজন জায়গার দলীল, মানিব্যাগ ও বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড রেখে দেওয়ার কারণে এই ঘটনার সূত্রপাত বলে জানায়
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, শেখ মূসা লামা হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং সে আমাদের জিম্মায় রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বান্দরবান প্রতিনিধি বশির আহমেদ

আপনি আরও পড়তে পারেন