বিএনপির সকল ‘রাজনৈতিক কৌশল’ এখন জনগণের কাছে ‘ভোঁতা’ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা-টাঙ্গাইল- হাটি কামরুল-রংপুর মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ এবং ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় পণ্যবাহী যানবাহনের চালকদের জন্য বহুমুখী সুবিধা সম্পন্ন বিশ্রামাগার নির্মাণের শুভ সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
বিএনপির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি উপনির্বাচনে আগে থেকেই ভরাডুবির আশংকা করছেন। জনগণের কাছে তারা কী বলে ভোট চাইবে? তাদের ঝোলায় ইতিবাচক কিছু নেই, তাই বিএনপি বরাবরের মতো মিথ্যা অভিযোগের তীর ছুঁড়তে শুরু করছে। দিবারাত্র সমালোচনা করেও বিএনপি নেতারা ‘দেশে গণতন্ত্র নেই’ বলে যে অভিযোগ করেন তা তাদের নিজেদের অভিযোগের অসারতা প্রমাণ করে।’
কাদের বলেন, ‘সরকার শ্রদ্ধা করে বিরুদ্ধমত আর তাই বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছে, করছে মিথ্যাচার। অবাধ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলেই বিরোধীদলগুলো সমালোচনা করতে পারছে, আর গণমাধ্যম স্বাধীন বলেই তারা প্রচার ও প্রকাশ করতে পারছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচারের জন্য বিএনপির কোন নেতাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে – তা তারাই বলুক? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার একটি গণতান্ত্রিক সরকার।
সরকার গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় যে কোনও দলের গণতন্ত্রচর্চা, রীতিনীতিকে সম্মান করে। শেখ হাসিনার পরমত সহিষ্ণুতা আছে বলেই বিএনপি অবিরাম মিথ্যাচারের ঢোল বাজিয়ে যেতে পারছে।’
‘সরকারের মদদে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হচ্ছে’- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কমিটি গঠনের পর তাদের অফিসে আগুন দিয়েছে কে? নিজেরা মারামারি করে নিজেদের হাত ভেঙেছে, মনোনয়ন নিয়ে চালাচ্ছে সন্ত্রাসী কার্যক্রম- এসবতো তাদের নিজেদের সৃষ্ট। সরকার যেকোনও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতিতে অটল।’
‘নিজ দলের কেউ অপরাধ করলে শাস্তি প্রদানের সাহস একমাত্র শেখ হাসিনাই রাখেন। সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক উগ্রতা, অনিয়ম-দুর্নীতি এবং সামাজিক অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান ইতোমধ্যে জাতির কাছে স্পষ্ট’- বলেও যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা অপরাধীদের ‘আতঙ্কে’ পরিণত হয়েছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলীয় পরিচয়ও তাঁর (শেখ হাসিনা) কাছে ঢাল হতে পারেনি। শেখ হাসিনা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি করেন।
মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর নিরলস সংগ্রাম। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ এবং জন আস্থা। আওয়ামী লীগ জনগণকে কখনও শত্রু মনে করে না। এমনকি বিএনপিকেও শত্রু ভাবে না বরং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করে।’
সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রয়াসে দেশের সড়ক হবে নিরাপদ। নিরাপদ এবং উন্নয়ন বান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার। এ লক্ষ্যে আইনগত কাঠামো শক্তিশালীকরণের অংশ হিসেবে সরকার সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়ন শুরু করছে।’
