ভোটোৎসব নষ্টে বিএনপির হাইকমান্ডকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা

ঢাকা-৫ আসনের উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। তবে নেই কোনো উত্তাপ এবং উৎসবমুখর পরিবেশ। কেন্দ্রে ভোটার নেই বললেই চলে। অধিকাংশ কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।

কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি না থাকলেও বাইরে দেখে গেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর নেতাকর্মীদের ভিড়। অন্যদিকে, অধিকাংশ কেন্দ্রেই বিএনপি প্রার্থীর নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। এমনকি খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।

ভোটের উৎসবকে নষ্ট হওয়ার জন্য বিএনপির হাইকমান্ডকে দায়ী করছেন স্থানীয় জনগণ। প্রার্থী বাছাইয়ে দলটির সিদ্ধান্ত ভুল বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। কারণ সালাহউদ্দিন আহমেদ এই আসনের ভোটারই নন। এছাড়া তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ (শ্যামপুর-কদমতলী) আসন থেকে অংশ নেন। তাই ভোট একতরফা হবে বলে দাবি করছেন ভোটরা।

এমনকি ভোটার না হওয়া প্রসঙ্গে আফসোস করেন বিএনপি মনোনীত এই প্রার্থী। সকালে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সালাউদ্দিন বলেন, ২০০৮ সালে আমি এই আসনের ভোটার ছিলাম। পরে ২০১৮ সালে আমাদের দল যখন নির্বাচনে অংশ নেয়, তখন ঢাকা-৪ আসনে আমি ভোটার হই। পরবর্তীতে আবার এই আসনের জন্য আবেদন করলেও নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের কারণে আমি ভোটার হতে পারিনি।

জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসন থেকে অংশ নেয়া সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো দূরের কথা মাঠে নামারও সাহস পাননি। নির্বাচনের দিন সকাল বেলায় মার খেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ভোট পান ২০ হাজারেরও কম।

এছাড়া প্রায় এক যুগ সালাহউদ্দিন আহমেদের বিচরণ ঘটেনি অত্র ঢাকা-৫ এলাকায়। ২০০৮ এর নির্বাচনে পরাজয়ের পর অনেকটাই আড়ালে চলে যান এই নেতা। এরপর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। আর একাদশে অংশ নিলেও সালাহউদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন পান ঢাকা-৪ (শ্যামপুর-কদমতলী) এলাকায়। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় এক যুগ ঢাকা-৫ (ডেমরা-যাত্রাবাড়ী) এ দেখা মিলেনি সালাহউদ্দিন আহমেদের।

তাই ভোটের উৎসবকে নষ্ট হওয়ার জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাইকে দায়ী করছেন নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে এ আসন গঠিত। উপ-নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ১৮৭টি, ভোটকক্ষ ৮৬৪টি। এই আসনে ভোটার ৪,৭১,১২৯ জন।

আপনি আরও পড়তে পারেন