মর্ডানা-ফাইজার দুটি ভ্যাকসিনই নিরাপদ : আশা গবেষকদের

যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানা ও ফাইজার- এ দুটি প্রতিষ্ঠানের করোনা ভ্যাকসিন-ই নিরাপদ বলে বিবেচিত হবে, এমনটাই আশাপ্রকাশ করেছেন মার্কিন গবেষকরা। ফাইজার তাদের ট্রায়ালের তথ্য দ্রুতই প্রকাশ করবে। আর মর্ডানার তথ্য মিলবে নভেম্বরে। এদিকে এবার কোভিডের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে কানাডা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ কথা জানিয়েছেন।

করোনায় ভারতে মৃত্যু হার কোনোভাবেই কমছে না। একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত এই সংকট কাটবে না বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। নানাভাবে টিকা পেতে চাই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। এবার বেঙ্গালুরুর ওষুধ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বায়োকন লিমিটেড টিকা তৈরিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। তারা ২০২১-এর জুনের মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে পারবে।

তবে বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য পর্যাপ্ত উৎপাদন সহজ নয় বলেও জানানো হয়। আর হায়দরাবাদ ভিত্তিক ওষুধ প্রতিষ্ঠানের প্রতি ‘কোভ্যাকসিন’ টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার অনুমোদন মিলেছে। ১০ রাজ্যের ১৯টি স্থানে তারা চালানো হবে পরীক্ষা।

নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ব্রাজিলের দ্বিতীয় আরেকটি ওষুধ কোম্পানি রাশিয়ার স্পুটনিক-ফাইভ ভ্যাকসিন তৈরি করবে। এছাড়া ব্রাজিলের বাহিয়া রাজ্যে রুশ স্পুটনিক-ফাইভের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল হবে এবং ৫০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন কিনবে তারা। এছাড়া চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের ৬ মিলিয়ন ডোজ আমদানি করতে যাচ্ছে ব্রাজিল।

এদিকে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিন অনুমোদনের যে চিন্তা করা হচ্ছে তাতে সবুজ দেয়া যেতে পারে। ফাইজার তাদের ট্রায়ালের তথ্য দ্রুতই প্রকাশ করবে। আর মর্ডানার ট্রায়াল সংক্রান্ত বিশদ তথ্য নভেম্বরে মিলবে। মার্কিন বিষেশজ্ঞদের আশা, এই দুটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিনই নিরাপদ বলে বিবেচিত হবে।

অন্যদিকে, কানাডার ফেডারেল সরকার জানিয়েছে, ভ্যাকসিন উৎপাদন ও গবেষণা এগিয়ে নিতে ২১৪ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। কুইবেকের মেডিকাগো কোম্পানির বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি। তারা পাচ্ছে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার। কাডানার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ কথা জানান।

মেডিকাগো ব্রিটিশ ওষুধ সংস্থা গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইনের সঙ্গে অংশীদার হয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে। ২০২১ সালে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদনের সক্ষমতা তাদের রয়েছে বলে জানা গেছে। কানাডা ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও ফাইজারের মতো জায়ান্টদের সঙ্গে ভ্যাকসিন পেতে চুক্তি সেরে রেখেছে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন