তারকা হলেও স্বপ্ন পূরণ হয়নি ঐশ্বরিয়ার

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, যিনি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের মধ্যে অন্যতম। প্রাক্তন বিশ্ব-সুন্দরী হিসেবে বরাবরই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হিসেবে পরিচিত এই সুন্দরী।

১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী হিসেবে মুকুট পরার পর থেকেই আর পেছনে ফিরতে হয়নি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে। যদিও অভিনয় জগতে পদার্পণ করার আগে তিনি মডেল হিসেবে কাজ করতেন। বিশ্ব সুন্দরী খেতাব অর্জনের পর ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেন।

তবে ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল ছিল তার কর্মজীবনের একটু বাজে সময়। যদিও তা কাটিয়ে ওঠেন ধুম ছবির বাণিজ্যিক সফলতায়। তবে শুধুমাত্র যে তার সৌন্দর্য কিংবা অভিনয় দিয়েই সবাইকে মুগ্ধ করেছে এমন নয়, প্রশংসা কুড়িয়েছেন তার অনন্য প্রতিভার জন্যও।

রোববার (০১ নভেম্বর) ছিল এই গুণী অভিনেত্রীর জন্মদিন।

সবাই তাকে অভিনেত্রী হিসেবেই চিনে। তবে সফলতার চূড়াতে আরোহণ করা এই অভিনেত্রীর আসলে অভিনয় জগতে আসা ইচ্ছা ছিল কতটুকু?

স্কুলে পড়াকালীন তিনি খুব মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। গণমাধ্যমের খবরে অবশ্য অনেকবারই এসেছে রুপালি পর্দা জগতে পা রাখার আগে স্থপতি হওয়ার স্বপ্ন ছিল ঐশ্বরিয়ার। আর সেই পরিকল্পনা নিয়ে স্থাপত্যশিল্প বিষয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করেছিলেন। স্থাপত্যশিল্প নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও মডেলিংকে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য তাকে তা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। তার প্রতিভা তাকে প্রস্ফূটিত করেছে বিনোদন অঙ্গনে।

১৯৯৭ সালে তামিল সিনেমা ‘ইরুবার’-এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। বলিউডের এক একটি সিনেমায় একেক রূপে হাজির হতেন ঐশ্বরিয়া। দর্শক প্রিয়তা পেয়েছিলেন ব্যাপক। তার কাজগুলো আজও মনে রেখেছেন মানুষ।

ঐশ্বরিয়াকে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে ‘ফেনি খান’ ছবিতে। তার বিপরীতে ছিলেন রাজকুমার রাও ও অনিল কাপুর। এরপর তামিল ছবি ‘পন্নিয়েন সেলভানে’তে দেখা যাবে তাকে। বিশ্ব-সুন্দরী খেতাব জিতে নেওয়া ঐশ্বরিয়া ভারতবাসীর হৃদয় জিতে নিয়েছেন অভিনয় দিয়ে।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা। জাতীয় পুরষ্কারসহ সেরা অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও লাভ করেছেন। সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে নিউইয়র্কে রাই আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হলিউড তারকা মাইকেল ডগলাসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎয়ের পর জাতিসংঘের এইডস ও এইচআইভিবিষয়ক সচেতনতায় নিয়োজিত ইউএনএইডসের নতুন আন্তর্জাতিক শুভেচ্ছা দূত মনোনীত হন তিনি। এইচআইভি সংক্রমণ থেকে শিশুদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বৈশ্বিকভাবে কাজ করছেন তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন