অপপ্রচার হচ্ছে নবীজির নামে, হিন্দু ধর্মগুরু নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সম্প্রতি কুমিল্লার মুরাদনগরে এবং দিনাজপুরের পার্বতীপুরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও তাদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অভিযোগ করে বলেছে, ফ্রান্সের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে একটি মহল সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কিছুটা বাড়িয়ে বলছে। কারণ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কোনো অপপ্রচার বা গুজব ছড়ানো হচ্ছে না, শুধু নবীজির (সা.) বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত অভিযোগ করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ৭ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।

কুমিল্লার মুরাদনগরে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগর এবং দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগরে এবং দিনজপুরের পার্বতীপুরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে। মুরাদনগরে বাড়ি ঘরে হামলা এবং আগুন দেয়া হয়েছে। এপর্যন্ত ফেসবুকে এই ধরনের গুজবের শিকার হওয়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়জন সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তিথি সরকার নিখোঁজ আছেন। অধ্যাপক কুশল চক্রবর্তীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘শুধু সংখ্যালঘু বা হিন্দু নয়, লালমনিরহাটে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী।’’

 

অভিযোগগুলোর প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো রোধে সরকার সতর্ক আছে এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবুও অপপ্রচারকারীরা নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করছে এগুলো কন্ট্রোল করার।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে গুজব ও হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অন্যায়ভাবে এগুলো বলছে। কারণ যত ‘অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সবই আমাদের নবীজির (সা.) নামে এবং কোনো হিন্দু ধর্মগুরুর নামে অপপ্রচার আমাদের চোখে পড়েনি।’ এসব বলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন