সরকারের মেয়াদ খুব বেশি থাকার কথা নয়: গয়েশ্বর

‘সরকারও কিন্তু ভেন্টিলেশনের খুব একটা বাইরে না। ভেন্টিলেশনের যে একটা পাইপ থাকে, সেই টিউবটা খোলার লোক নেই। এটা খুললে কিন্তু যারা লাইফ সাপোর্টে থাকে, সাথে সাথে তার মৃত্যু ঘোষণা হয়। বর্তমান সরকারের অবস্থা তাই মনে হয়। জনগণের সমর্থনহীন ভোটারবিহীন ভোট ডাকাতের সরকার লাইফ সাপোর্টে থাকা ছাড়া অন্য কোথাও থাকার সুযোগ নেই। এই লাইফ সাপোর্ট খোলার দায়িত্ব যদি জনগণ নিয়ে নেয়, তাহলে সরকারের মেয়াদ খুব বেশি থাকার কথা নয়।’

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহসহ নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।

গয়েশ্বর বলেন, কারো দুঃসময়ে তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চাওয়ার মানসিকতা আমাদের মধ্যে এখনো আছে। আমরা আপনজনকে আপন ভাবতে পারি। এ আপনজনকে আপন ভাবতে পারলেই আমাদের মাঝে সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে ওঠে।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের অনেক সহকর্মী বিশেষ করে মির্জা আব্বাস ও বেগম আফরোজা আব্বাস, মোহাম্মদ শাহজাহান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ অনেকে করোনায় আক্রান্ত। আজকে আমরা অধিকারহারা মানুষের পর্যায়ে, তাই স্বাস্থ্যবিধি যেভাবে মানার কথা সেভাবে মানতে পারি না। জীবনের তাগিদে আমাদের রাস্তায় বের হতে হয়, কথা বলতে হয়, মানুষের কাছে যেতেও হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এ রোগমুক্তির জন্য শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই চলবে না, রাজনীতি ও গণতন্ত্রের বিধি মেনে গণতন্ত্রকে অনুসরণ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের এই দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ একটা জাতীয় ঐক্য। দলের নেতাকর্মী, নানা ভাবনা, নানা চিন্তা, নানা মতের লোক থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের মধ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস থাকতে হবে। যেমন ২০০৯ সালের কাউন্সিলে বিএনপির একটা শ্লোগান ও লক্ষ্য ছিলো, ‘নানান মানুষ, নানান পথ, দেশ বাঁচাতে ঐক্যমত’। সে কারণে আমাদের দেশ বাঁচানোর কথা বলতে হবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, রাজনীতি সব কিছু বিশ্লেষণ করলে কখনো কোনো জ্যাতির্বিদের কাছে যেতে হয় না। রাজনীতি যারা করে তারা দূরে দেখে, সামনে দেখুক বা না দেখুক। যে রাজনীতিবিদ দূরে দেখে না, তার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমাদের কাছে রোগ নির্ণয় করা আছে, আমরা বুঝতে পারছি, কিন্তু ওষুধটা দিতে পারছি না।

তিনি বলেন, আমি আশা করবো ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া বিসর্জন দিয়ে আমাদের মূল লক্ষ্য হবে জনগণকে মুক্তি দেয়া। স্বাধীনতার চেতনার গণতান্ত্রিক যে রাষ্ট্র, সে রাষ্ট্রটি যদি আমরা ফেরত আনতে পারি, তাহলে জনগণ আমাদের পুরষ্কৃত করবে। তারচেয়ে বড় প্রাপ্তি আমাদের আর কিছু থাকতে পারে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন