ভালুকায় চাচা‌ শশুরের লালসার শিকার এক গৃহবধূ ঘর ছাড়া।

ভালুকায় চাচা‌ শশুরের লালসার শিকার এক গৃহবধূ ঘর ছাড়া।
ভালুকায় চাচা‌ শশুরের লালসার শিকার এক গৃহবধূ ঘর ছাড়া‼️‼️
 ভালুকা প্রতিনিধি  :- ভালুকার উথুরা   ইউনিয়নের চামিয়াদি গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী হাসিনা আক্তার আপন চাচাশশুর আঃ মোতালেবের লালসার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টো স্বরযন্ত্রের শিকার হয়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
প্রবাসীর স্ত্রী জানায় প্রায় ১৫/১৬ বছর পূর্বে চামিয়াদি গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে হাসিনা আক্তারের একই গ্রামের জাহাঙ্গীরের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর হতে জাহাঙ্গীর প্রবাস জীবন শুরু করে। কিছুদিন পর পর সে দেশে ফিরে স্ত্রীর সাথে ঘর সংসার করে আবার বিদেশ চলে যায়। গত চার বছর পূর্বে জাহাঙ্গীর জমি ক্রয় করে আলাদা বাড়ি তৈরী করে স্ত্রী হাসিনাকে সন্তান সহ ওই বাড়িতে রেখে আবার বিদেশ চলে যান।
এ অবস্থায় জাহাঙ্গীরে আপন চাচা আঃ মোতালেবের নজর পরে ভাতিজার স্ত্রী হাসিনার উপর। বিভিন্ন সময় একা বাড়িতে পেয়ে ওই গৃহবধুকে নানা ভাবে কুপ্রস্তাব সহ উৎপাত শুরু করে। গত ০৬/০৮/২০১৯ সালের আগষ্ট মাসে আঃ মোতালেব একা বাড়িতে ওই গৃহবধুর ইজ্জত হরনের চেষ্টা করলে সে নিজেকে তার হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হলেও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচরিয়ে ও কামড়িয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ ঘটনায় গত ০৭/০৮/২০১৯ ইং তারিখে গৃহবধু আঃ মোতালেবের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী নং-৩০৫ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে ২১/০৯/২০১৯ ইং তারিখে উথুরা ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ভবিশ্যতে ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি না ঘটানোর শর্তে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে একটি লিখিত আপোষনামা করে দেন। তা সত্বেও আঃ মোতালেব থেমে থাকেনি ওই গৃহবধুকে সময়ে অসময়ে উত্যক্ত করা সহ নানাভাবে হয়রানি অব্যাহত রাখে। এদিকে গত ২৯/১০/২০২০ ইং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আঃ মোতালেব ওই গৃহবধুর বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে একা পেয়ে ঝাপটে ধরে।
এ সময় ধ্বস্তাধস্তিতর এক পর্যায়ে পালিয়ে গেলেও তার গায়ের গেঞ্জি ছিড়ে রেখে দেয়। বিষয়টি রাতেই মোবাইল ফোনে হাসিনা আক্তার তার স্বামীকে জানালে তিনি হুকুম দেন পুনরায় তার চাচা বাড়ীতে প্রবেশ করলে যেন তার ঠেং ভেঙ্গে দেয়। পরদিন ৩০/১০/২০২০ ইং শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে পুনরায় আঃ মোতালেব একা বাড়িতে ওই গৃহবধুর ঘরে প্রবেশ করে তার ইজ্জত হরনের চেষ্টা চালায়। এ সময় নিজের ইজ্জত বাঁচাতে সে তার চাচা শশুরের চোখে মুখে মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করে একজন অসহায় নারী হিসেবে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করে।
একটি প্রভাবশালী কুচক্রি মহল উল্টো ওই গৃহবধুর বিরুদ্ধে স্বরযন্ত্র মুলক মামলা দিয়ে তাকে আসামী বানিয়ে দুই শিশু সন্তান সহ ঘর ছারা করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। উল্লেখ্য ঘটনার পর পর ওই গৃহবধু ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অসহায় ওই মহিলাকে আইনের আশ্রয়ে যেতে প্রভাবশালীরা নানাভাবে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি সহ অপপ্রচার চালাচ্ছে। একজন অসহায় নারী হিসেবে গৃহবধু দুই শিশু সন্তানের জননী হাসিনা আক্তার দেশের সচেতন মহল ও প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন