পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ইলেকটোরাল ভোটের চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট শিবির জো বাইডেন। তবে তাকে বিজয়ী মানতে এখনো রাজি নয় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সুরেই এবার কথা বলেছেন তার আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, হাস্যকর হবেন না, গণমাধ্যমগুলো নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এটি করে আদালত।
ট্রাম্পের সুরেই এদিন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগের খাতা খুলে বসেন তিনি। ব্যালট জালিয়াতি, পর্যবেক্ষক থেকে গোপন করে ভোট গণনা, মেইল ইন ভোটে গড়মিলসহ নানা অভিযোগ তোলেন তিনি।
ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জিলিয়ানির ভাষ্য, ‘কবর থেকে উঠে এসে ডেমোক্র্যাটরা ভোট দিয়েছে।’
পেনসিলভানিয়ায় ভোট জালিয়াতি নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ করছেন বলে তিনি জানান। জিলিয়ানির দাবি, ‘অসাধু উপায়ে অঙ্গরাজ্যটিতে জিতেছেন বাইডেন।’
এক টুইটবার্তায় ট্রাম্পের আইনজীবী বলেন, ‘নির্বাচনীর দিন রাতেও ৮ লাখ ভোটে এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। এরপর লাখ লাখ পোস্টাল ভোট গণনা করা হলো রিপাবলিকানদের কোনো পর্যবেক্ষক ছাড়াই।’
পেনসিলভানিয়ায় শুরু থেকে এগিয়ে ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে বিপুল পরিমাণ আগাম ভোটের কারণে ভোট গণনা দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে আরও বেশি উত্তেজনা তৈরি হয়। শেষপর্যন্ত দেখা যায়, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে হারিয়ে অঙ্গরাজ্যটি জিতে নেন বাইডেন।
জিলিয়ানির অভিযোগ, মৃত মানুষদের ভোটও গণনা করা হয়েছে পেনসিলভানিয়ায়। কবর থেকে উঠে এসে তারা ভোট দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ফিলাডেলফিয়া শহরের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর বাইডেনের নিয়ন্ত্রণ ছিল। আমরা এটি বের করব।’
শহরটির আগের নির্বাচনগুলোতে প্রয়াত হেভিওয়েট বক্সার জো ফ্রেজিয়ার এবং অভিনেতা উইল স্মিতের মৃত দাদাকে ভোট দিতে দেখা যায় বলে জিলানি দাবি করেন।
জিলানি বলেন, ‘জো ফ্রেজিয়ার ২০১৮ সালে মারা যান, এরপরেও তিনি কয়েকমাস পরে শহরটির নির্বাচনে ভোট দেন। স্মিথের দাদা মারা ২০১৬ সালে এবং তিনি পরের দুই বছরে নির্বাচনে ভোট দেন।’
এমন পরিস্থিতিতে পেনসিলভানিয়ার ভোট গণনার ওপর নিরীক্ষা চালানোর দাবি জানান তিনি। এমনকি জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে আদালতের যাওয়ার ঘোষণাও দেন।