নিয়োগ পরীক্ষায় ২ নম্বর বাড়িয়ে দিলেন ভিকারুননিসার শিক্ষক

এমপিভুক্ত সকল কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য অনলাইনে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এসব তথ্য নির্ধারিত অনলাইনে ফরমে পূরণ করতে হবে সব এমপিওভুক্ত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। এমপিওভুক্ত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্প প্রণয়নে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব এমপিওভুক্ত বিএম কলেজ, ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট ও এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য পাঠানের জন্য বলা হয়েছে। এমপিওভুক্ত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://dteplanning.onlinetvet.com/) প্রবেশ করে আগে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। তারপরে ইউজার আইডি ও পার্সওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য প্রদান করেতে হবে। ইউজার ম্যানুয়াটি। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এসব তথ্য অনলাইনে পূরণ করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। ডাটা-এন্ট্রি ফরম পূরণের নির্দেশনা। এমপিওভুক্ত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এ প্রকল্প পরিকল্পনা প্রণয়নে জন্য এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলের তথ্য প্রয়োজন। তাই কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীর সকল এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে শিক্ষা বিডির ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই শিক্ষাবিডিডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। শনিবারের এ পরীক্ষায় দুই প্রার্থীর খাতায় টেম্পারিং করে নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হকের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে অবহিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে বিদ্যালয়টির অভিভাবক ফোরাম।

অভিযোগে জানা গেছে, গত শনিবার (২৭ নভেম্বর) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সময় দুইজন প্রার্থীর নম্বর খাতায় টেম্পারিং করে বাড়িয়ে দেন শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হক।

অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মাজহারুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। তিনি বিষয়টি পরীক্ষা করে নম্বর কমানোর ব্যাপারে প্রমাণ পান।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নম্বর বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। পরে তা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। যে প্রার্থীর নম্বর বাড়ানো হয়েছিল তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এখন কোনও সমস্যা নেই।’

এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের কোনও বিধান না থাকলেও তড়িঘড়ি করে কেনও অদৃশ্য পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অভিভাবক ফোরাম।

ফোরামের সভাপতি আব্দুর রহিম হওলাদার (রানা) বলেন, ‘অর্গানোগ্রামে না থাকলেও স্বজনপ্রীতি করে খাতা টেম্পারিং করা হয়েছে।’

খাতা টেম্পারিংএর বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হককে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

পরে কথা বলতে পারবেন না জানিয়ে তিনি একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠান।

আপনি আরও পড়তে পারেন